Table of Contents
Toggleসুন্দর ত্বক রক্ষার্থে কৈশোরে একটু বেশিই কাঠখড় পোড়াতে হয়। ত্বকজুড়ে তখন দেখা দেয় নতুন নতুন সমস্যা। এসব সমস্যা সমাধানে কিশোরদের জন্য ত্বকের যত্নের কার্যকরী একটি রুটিন থাকছে এখানে।
ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে বয়সটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমরা বেশিরভাগ মানুষই কৈশোরে তৈলাক্ত ত্বক (Oily Skin) এর সমস্যায় ভুগি। আবার সেই একই মানুষের বয়স যখন ৩০ এর দিকে পৌছায়, তখন সেই ত্বকই ধীরে ধীরে শুষ্ক হতে থাকে। এরপরে বয়স যখন ৫০ ছুঁই ছুঁই, তখন ত্বকে চলে আসে বলিরেখা ও বার্ধক্যের ছাপ। এখানে সমস্যা যেহেতু ভিন্ন, তাই ত্বকের যত্নও বয়সভেদে ভিন্ন। এই ব্লগটিতে আমরা মূলত কিশোরদের বিভিন্ন ত্বকের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবো। পাশাপাশি কিশোরদের ত্বকের যত্নের (Skin care for teenage boys) একটি কার্যকরী রুটিন সাজিয়েছি যেটা এই ব্লগের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। কৈশোরে যারা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন, আশা করি আমাদের এই রুটিনটি অনেকাংশেই সাহায্য করবে।
কৈশোরে ত্বকের যত্ন নেওয়া কেন এতো জরুরি?
কৈশোরে ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনেকটা অনীহা দেখা যায়। এর মূল কারন আমরা এর গুরুত্ব সম্পর্কে ভালোভাবে অবহিত না। অতএব, শুরুতেই চলুন জেনে নেয়া যাক এই বয়সে ত্বকের যত্ন নেওয়া কেন এতো জরুরিঃ
- চর্মরোগ ও কসমেটোলজি বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বকের যত্ন যত দ্রুত শুরু করা যায় ত্বকের জন্য তত ভালো। এক্ষেত্রে, ত্বকের যত্ন নেওয়ার সর্বোত্তম সময় হচ্ছে কৈশোর। কৈশোর থেকে ত্বকের যত্ন নেওয়া শুরু করলে ত্বকে দ্রুত বলিরেখা (Wrinkle) পড়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।
- কৈশোরে ত্বকের সঠিক যত্ন আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলে। কৈশোরে বা বয়ঃসন্ধিকালে আমাদের বিভিন্ন ধরনের হরমোনের পরিবর্তন হয় এবং পাশাপাশি দেহের কিছু প্রাকৃতিক পরিবর্তন ঘটে। এর ফলে ত্বকে অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব, ব্রণ, ব্লাকহেড, হোয়াইটহেড ইত্যাদি জাতীয় সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে অনেকে আত্মবিশ্বাসহীনতায় ভোগে এই ভেবে যে, হয়তোবা তাকে আর আকর্ষণীয় লাগছেনা। প্রকৃতপক্ষে সৌন্দর্য মানুষের আত্মবিশ্বাস অনেক অংশে বাড়িয়ে দেয়। এ সময় নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিলে এসব সমস্যা থেকে খুব সহজেই নিস্তার পাওয়া যায়, যা আত্মবিশ্বাস বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।
- কৈশোরে ত্বকের নিয়মিত যত্ন নিলে ত্বক ফ্রেশ, নরম, উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যবান রাখতে সাহায্য করে।
- কৈশোর থেকেই যদি রুটিনের মাধ্যমে ত্বকের যত্নের একটি সুন্দর অভ্যাস গড়ে তোলা যায়, তা শেষ বয়স পর্যন্তও থেকে যায় এবং ত্বক তার সুফল ভোগ করতে থাকে।
- স্বাভাবিক ভাবেই এই বয়সে অনেক বেশি ছুটাছুটি করতে হয়। স্কুল-কলেজ, খেলাধুলা, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো ইত্যাদির কারণে ত্বকে অনেক বেশি ধুলাবালি, ও ময়লা জমতে থাকে। এছাড়াও বাহিরে রোদের প্রকোপ তো আছেই। এসময় নিয়মিত ত্বকের যত্ন না নিলে, ময়লা , ধুলোবালি, পলিউশন ও রোদ ত্বকের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করতে পারে।
- ত্বক নিয়মিত পরিস্কার না করলে লোমকূপ গুলো আকারে অনেক বড় হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যার ফলে ত্বকে মাত্রাতিরিক্ত হারে তেল বের হতে পারে। পাশাপাশি ডেড স্কিন সেলস জমা হয়ে ত্বকে কাল প্যাচ পড়তে পারে।
মূলত এসব কারণেই কৈশোরে ত্বকের যত্ন নেওয়া এতো জরুরী। কৈশোরে ত্বককে অনেক ধকল সহ্য করতে হয়। তাই, যদি কেউ কৈশোরে সুন্দর ত্বক চায়, তার জন্য ত্বকের যত্ন নেওয়া অপরিহার্য।
কিশোরদের জন্য ত্বকের যত্নের রুটিন
যেকোনো কাজে একটি নির্দিষ্ট রুটিন অনুসরন করলে কাজটা দীর্ঘদিন ধরে সঠিকভাবে করা যায়। ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে ফলাফল পাওয়ার জন্য একটি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত কাজগুলো নিয়মিত করে যেতে হয়। তাই, এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট রুটিন খুবই জরুরী। কৈশোরে সঠিকভাবে ত্বকের যত্নের পরিপূর্ণ একটি রুটিন আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করা (Cleansing):
বয়ঃসন্ধিকালে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে ত্বক থেকে অতিরিক্ত পরিমানে তেল বের হয়। তৈলাক্ত ত্বক এ জমে থাকা ময়লা,ধুলোবালি দূর করতে প্রতিদিন দুই থেকে তিন বার খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। এক্ষেত্রে ত্বকের ধরণ অনুযায়ী একটি অর্গানিক উপাদান দিয়ে তৈরী কেমিক্যালমুক্ত ফেসওয়াস বা ক্লিনজার ব্যবহার করা যেতে পারে। যদি আপনার ত্বক তৈলাক্ত হয়, সেক্ষেত্রে তেল সমৃদ্ধ কোনো পন্য ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
পাশাপাশি অনেক কেমিক্যালযুক্ত ফেসওয়াস আছে যেগুলো আপনার ত্বকের সাথে খাপ খায় না। এসব পন্য ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। এ ধরণের ফেসওয়াস (Facewash) বা ক্লিনজার (Cleanser) ব্যবহার থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকুন।
টোনার ব্যবহার করা (Skin Toning):
ফেসওয়াস বা ক্লিনজারের মাধ্যমে পরিষ্কারের পরে ত্বকে নিয়মিত টোনার (Toner) লাগাতে হবে। টোনার মূলত পানির মতো দেখতে একটি স্কিন কেয়ার প্রসাধনী যাতে উপাদান হিসাবে থাকে এসিড, গ্লিসারিন, এন্টিঅক্সিডেন্ট, এন্টি-ফ্লেমেটরি, ইত্যাদি। বাজারে এখন অনেক কেমিক্যালযুক্ত টোনার বের হয়েছে যেগুলো ব্যবহারে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এক্ষেত্রে ন্যাচারাল (Natural) বা, অর্গানিক (Organic) উপাদান দিয়ে তৈরি একটি টোনার বেছে নিতে পারেন। এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ত্বক পরিস্কারের পরে হাতের তালুতে নিয়ে বা কটন প্যাড এ ভিজিয়ে মুখে খুব মোলায়েম ভাবে লাগাতে হবে।
টোনার খুব দ্রুত ত্বকের মধ্যে প্রবেশ করে ত্বককে হাইড্রেট (Hydrate) করে এবং জমে থাকা ডেড স্কিন সেল গুলো পরিস্কার করতে সাহায্য করে। এছাড়াও টোনার বর্ধিত লোমকূপ (Pore) ধীরে ধীরে ছোট করে তুলতে সহায়তা করে। যাদের লোমকূপ অনেক বড় এবং তৈলাক্ত ত্বক এর সমস্যায় ভুগছেন, তারা নিয়মিত টোনার ব্যবহার করলে বেশ ভালো ফল পাবেন।
মশ্চারাইজার ব্যবহার করা (Moisturize):
এ বয়সে ত্বকের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ত্বক মশ্চারাইজ করা। এটি যেকোনো ধরণের ত্বকের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তবে বিশেষ করে যাদের শুষ্ক ত্বক তাদের জন্য মশ্চারাইজার ব্যবহার করা একরকম বাধ্যতামূলক। ত্বক যখন মইশ্চার (Moisture) হারায়, তা শুষ্ক, নিষ্প্রভ ও নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। এই নিস্প্রান ত্বককে স্বাস্থ্যবান ও উজ্জ্বল করে তুলতে হলে আপনাকে ত্বকের সাথে মানানসই এমন একটি কেমিক্যালমুক্ত ন্যাচারাল গুণসম্পন্ন মশ্চারাইজার বেছে নিতে হবে। ত্বকে ব্যবহার্য প্রতিটা পন্যেই ত্বকের সাথে মানানসই হওয়া খুবই জরুরী। মশ্চারাইজার ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সেটা মেনে চলতে হবে। যেমন, তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অয়েল ফ্রি মশ্চারাইজার (Oil-free moisturizer), একটু সেনসিটিভ ত্বকের জন্য ফ্র্যাগন্যান্স-ফ্রি মশ্চারাইজার (fragrance-free moisturizer) ইত্যাদি।
এক্সফলিয়েট করা (Exfoliation):
এক্সফলিয়েশন কৈশোরে ত্বকের যত্নে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। এ সম্পর্কে অনেকের ধারণা নাই বললেই চলে। পুরানো কোষ মরে গিয়ে প্রতিনিয়তই আমাদের ত্বকের উপরে জমা হতে থাকে। এই মৃত কোষগুলো নিয়মিত পরিস্কার না করলে তা লোমকূপ বন্ধ করে দিতে পারে। পাশাপাশি এর ফলে ব্যাকটেরিয়া জনিত ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা, ব্রণ, ব্ল্যাকহেড, হোয়াইট হেড ইত্যাদির সমস্যা হতে পারে। এসব সমস্যা দূরে রাখার জন্যেই মৃত কোষগুলো একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে পরিস্কার করা হয় যা, এক্সফলিয়েশন নামে পরিচিত। এছাড়াও কৈশোরে বাইরে অতিরিক্ত ঘোরাঘুরির কারণে প্রচুর পরিমানে ময়লা জমতে থাকে। এই জমে থাকা ময়লা দূর করার জন্যও এক্সফলিয়েশন অনেক কার্যকরী একটি পদ্ধতি।
এক্সফলিয়েশনের ক্ষেত্রে সচরাচর দুইটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যথাঃ কেমিক্যালযুক্ত এক্সফলিয়েটর এবং মেকানিকল এক্সফলিয়েটর। বাজারে বিভিন্ন ধরণের স্ক্রাব, এক্সফলিয়েটর ক্রিম, ফেসওয়াস ইত্যাদি পাওয়া যায় যা কেমিক্যাল এক্সফলিয়েটর এর অন্তর্গত। এগুলোর মধ্যে সবই মোটামুটি কার্যকর পদ্ধতি। আবার মেকানিক্যাল এক্সফলিয়েটরের মধ্যে আছে ফেসিয়াল ব্রাশ, স্পঞ্জ বা লোফা ইত্যাদি। তবে সংবেদনশীল ত্বকের জন্য মেকানিক্যাল পদ্ধতি ব্যবহার না করায় শ্রেয়। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ক্লিনজিং (Cleansing) ও টোনিং (Toning) এর মতো এক্সফলিয়েশন (Exfoliation) প্রতিদিন করা যাবে না। তাতে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এজন্য, এটি বিরতি দিয়ে দিয়ে সপ্তাহে তিন দিন করার পরামর্শ রইলো।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করা (Using Sunscreen):
সূর্যের ইউ.ভি.এ. (UVA) এবং ইউ.ভি.বি. (UVB) রশ্মি এর প্রভাবে ব্রণ, স্কিন ক্যানসার, ত্বক পুড়ে যাওয়া, ত্বক দেখতে বয়স্ক লাগা (Premature aging), ইত্যাদি সমস্যার কারণ হতে পারে। এজন্য সূর্যের তাপ যখন সর্বোচ্চ থাকে (সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২টা), সে সময় আমাদের ত্বককে সূর্যের এই ক্ষতিকর রশ্মি থেকে প্রোটেক্ট করতে হবে। সেক্ষেত্রে সবথেকে কার্যকরী পদ্ধতি হলো সানস্ক্রিন ব্যবহার করা। যে কোন সানস্ক্রিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই তেলমুক্ত (Oil-free) অর্গানিক ও প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরী সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে, কারণ কৈশোরে এমনিতেই ত্বকে সেবাম (Sebum) বা তেল এর নিঃসরণ সবথেকে বেশি থাকে। পাশাপাশি বাইরে বের হওয়ার সময় চেষ্টা করতে হবে ফুল হাতা জামা, ফুল প্যান্ট, হ্যাট, ইত্যাদি পরার যেগুলো সূর্য থেকে আপনাকে কিছুটা হলেও রক্ষা করতে পারে।
যত্ন নেওয়া
কৈশোরে বা বয়ঃসন্ধিকালে কিছু হরমোনের নিঃসরণ অনেকাংশে বেড়ে যায়। এর মধ্যে অন্যতম একটি হরমোন হচ্ছে অ্যান্ড্রোজেন (androgen) যার ফলে আমাদের ত্বক থেকে সেবাম বা তেল এর নিঃসরণ অতিরিক্ত মাত্রায় হতে থাকে। ফলসরূপ ব্রেকআউট, ব্রণ, ব্ল্যাকহেড এবং হোয়াইট হেড ইত্যাদির সমস্যা অধিক হারে দেখা দেয়। ব্ল্যাকহেড এবং হোয়াইট হেড এর সমস্যা সমাধানের জন্য ত্বকের তেলের সমস্যার সমাধান করা জরুরী। তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা সম্পূর্ণরূপে সমাধানের জন্য আমাদের একটি ব্লগ আছে। চাইলে এখানে ক্লিক করে ব্লগটি পড়ে আসতে পারেন।
আর ব্রণ ও ব্ল্যাকআউট এর সমস্যার সমাধানে অর্গানিক ও প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি কিছু ক্রিম বা ফেসওয়াস ব্যবহার করতে পারেন। ব্রণ অযথা খুঁটাখুঁটি করবেন না। বয়সের কারণে কৈশোরে স্বাভাবিকভাবেই নিয়মিত ব্রণ হতেই পারে। সেগুলোকে এই ক্রিম অথবা ফেসওয়াসের মাধ্যমে হিল (Heal) করার চেষ্টা করতে হবে যাতে ত্বকে কোনো ধরণের দাগ না পড়ে । পাশাপাশি বিভিন্ন ন্যাচারাল উপাদান দিয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে মাস্ক বানিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে একদিন বেসন, গোলাপ জল, মধু, ও চন্দন দিয়ে মাস্ক বানিয়ে ব্যবহার করলে ব্রণ জাতীয় সমস্যা থেকে অনেকাংশে নিস্তার পাওয়া যায়।
একটি সুন্দর ফুড হ্যাবিট তৈরি করা
একটি সুন্দর খাবারের অভ্যাস ত্বককে অনেক সমস্যা থেকে রক্ষা করে। বিশেষ করে, ভিটামিন ই, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ফ্যাটি এসিড, ইত্যাদি সমৃদ্ধ খাবার কৈশোরে স্বাস্থ্যবান ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। চর্বিযুক্ত মাছ, অ্যাভোক্যাডো, বিভিন্ন ধরণের বাদাম, মিস্টি আলু, টমেটো, ব্রুকলি, সূর্যমুখীর তেল ইত্যাদি ত্বকের জন্য অনেক উপকারী কিছু খাবার যা প্রাকৃতিক ভাবেই আমাদের ত্বককে বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা করে। যেমন, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার টমেটো আমাদের ত্বককে সূর্যের তাপ হতে প্রাকৃতিক ভাবেই রক্ষা করে। চর্বিযুক্ত মাছ আমাদের ত্বককে মশ্চারাইজড (Moisturized) রাখে। সূর্যমুখীর তেল, অ্যাভোক্যাডো, ইত্যাদি ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার ত্বককে ন্যাচারাল ভাবে স্বাস্থ্যবান করে তোলে। তাই কৈশোরে নিজের দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় এসমস্ত খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি সবধরনের জাঙ্ক ফুড, নোংরা তেলে ভাজা স্ট্রিট ফুড, ফাস্ট ফুড ও অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। এছাড়াও ধূমপান বা নেশা জাতীয় জিনিস থেকেও দূরে থাকতে হবে।
এই ছিলো মূলত কৈশোরে ত্বকের যত্নের রুটিন। আশা করি এটি নিয়মিত এবং সঠিকভাবে অনুসরন করলে কিছু দিনের মধ্যে ফলাফল লক্ষ্য করবেন। নিজেকে একটু উজ্জ্বল, সতেজ, ও লাবণ্যময় রাখতে নারী পুরুষ উভয়ের জন্যেই ত্বকের যত্ন (Skin care) নেওয়া উচিৎ। আমাদের দেশে ত্বকের যত্নের কনসেপ্টটা মূলত নারী কেন্দ্রীক। কিন্তু কৈশোরে মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেরাও ত্বকের বিভিন্ন ধরণের সমস্যায় ভুগে যা পরবর্তীতে দীর্ঘমেয়াদি মারাত্মক কোনো সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাই, ত্বকের সার্বিক সমস্যা সমাধানে কিশোর-কিশোরী সকলকেই নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিৎ।
তথ্যসূত্র: (লেখায় ইংরেজি কনটেন্টের বাংলা সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়েছে)
ছবি- ফ্রিপিক, আনস্পালাস
- https://curriedayspa.com/teens-start-skincare-facial-routine/
- https://www.everydayhealth.com/skin-and-beauty/skin-care-for-teen-skin.aspx
- https://sharpologist.com/ultimate-guide-facial-skincare-teenage-boys/
পাঠকরা যা বলছেন
"আমি শুধু বলতে চাই আপনার নিবন্ধগুলির জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ! আমার প্রবলেম ছিল, এখানে প্রাপ্ত সমস্ত তথ্য অত্যন্ত সাহায্য করেছে। আপনি আমাকে আশা এবং দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।"
দাবিত্যাগ : আমি একজন মেডিকেল পেশাদার নই। আমার মন্তব্য, পরামর্শ, এবং প্রতিফলন চিকিৎসা পরামর্শের জায়গায় নেওয়ার উদ্দেশ্যে নয়। কোন খাদ্য বা জীবনধারা পরিবর্তন করার আগে সর্বদা একজন পেশাদার চিকিৎসকের পরামর্শ ও সাহায্য নিন।
"আমাদের মেইলিং তালিকায় সদস্যতা নিতে পৃষ্ঠার নীচে আপনার ইমেল ঠিকানা লিখতে ভুলবেন না, যাতে আপনি সর্বশেষ বিষয়বস্তু, নতুন পণ্য এবং লেটেষ্ট ব্লগ এর নোটিফিকেশন দ্রুত পেতে পারেন ।"
লিখাটি নিয়ে আপনার অভিমত কি?