008 6 linnet

দৃঢ় মনোবল দিয়ে আনতে হবে বিজয়।

২০ সেপ্টম্বর সব পত্রিকার অন্যতম সংবাদ ছিলো,নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা, ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়েছেন সাবিনারা। প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের শিরোপা জয়ের এ ম্যাচে প্রথম গোল করেছেন শামসুন্নাহার। অথচ শামসুন্নাহারকে স্ট্রাইকার সিরাত জাহানের পরিবর্তে মাঠে নামানো হয়েছে। সুযোগ পেলেই যে যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হয়, তা মনে হয় ভালোই জানেন শামসুন্নাহার। এজন্য মাঠে নেমেই করেছেন গোল।

001 9 linnet

ফিফার সারিতে স্থান নেপাল ১০২ এবং বাংলাদেশ ১৪৭। অর্থাৎ নেপাল বাংলাদেশের চেয়ে ৪৫ ধাপ এগিয়ে আছে। এছাড়া অতীত পরিসংখ্যানেও নেপাল এগিয়ে। এর আগে বাংলাদেশ ও নেপাল ৮বার খেলেছে। নেপাল জয় পেয়েছে ৬টি খেলায়  এবং ২টি খেলা ড্র হয়েছে। যখন কেউ সফল হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে থাকে, তখন সে কোনো পরিসংখ্যানই দেখে না। তার সামনে যত অভিজ্ঞ ও যোগ্য মানুষই থাক না কেন, সে তাকে পরোয়া করে না। বাংলাদেশের মেয়েরা জয়ের জন্য মরিয়া ছিলেন, তাই তারা দেখেননি কে তাদের চেয়ে এগিয়ে আছে এবং কে পিছিয়ে আছে। শুধু ভেবেছেন, কীভাবে বিজয়ী হওয়া যাবে। এজন্য তারা আজ দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন। জীবনে জয়ী হতে চাইলে শুধু নিজের সেরাটুকু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সাধনা করতে হবে। কোথায় আছি এবং আমার প্রতিপক্ষ কে এসব ভাবলে চলবে না। মনে রাখতে হবে, যোগ্য হতে চাইলে যোগ্যকে পরাজিত করতে হয়। সফল হতে চাইলে, সফল প্রতিপক্ষকে ব্যর্থ করতে হয়।

0011 7 linnet

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফুরিয়ে যাওয়ায় শ্রীলঙ্কায় শুরু হয়েছিল আন্দোলন। প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর দখল করে নিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। দেশটি ঋণখেলাপিতে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। দেশের যখন এমন করুণ অবস্থা, তখন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দল এশিয়া কাপে খেলতে গেল। এশিয়ার দেশগুলোকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হল। অবস্থা যত প্রতিকূলই হোক বিজয়ী হওয়ার ইচ্ছা থাকলে এবং নিজের সেরাটুকু দিতে পারলে জয় নিশ্চিত।

007 7 linnet

ছোটবেলায় পাঠ্যপুস্তকে পড়েছিলাম- স্কটদের রাজা রবার্ট ব্রুস রাজ্য হারিয়ে গুহায় আশ্রয় নিলেন। মনে তার হতাশা ও আতঙ্ক। হঠাৎ দেখলেন, মাকড়শা বারবার পড়ে যাচ্ছে এবং পুনরায় উঠে জাল বুনতে শুরু করছে। অসংখ্যবার পড়েও হতাশ হচ্ছে না মাকড়শা। একপর্যায়ে নিখুঁতভাবে জাল তৈরি করেই দম নিল এই প্রাণী। বসবাস করতে শুরু করল নিজের তৈরি জালে। রাজা মাকড়শা থেকে মনোবল শিক্ষা নিলেন। পুনরায় যুদ্ধ শুরু করলেন। কোনো প্রতিকূল অবস্থাকে গুরুত্ব দিলেন না। নিজের বিজয় ছিনিয়ে আনার জন্য যুদ্ধ অব্যাহত রাখলেন। অবশেষে হারানো রাজ্য ফিরে পেলেন। পুনরায় রাজা হয়ে স্কটল্যান্ড শাসন করতে শুরু করলেন।

0018 10 linnet

বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কারের সময়ে ১০ হাজার বার এক্সপেরিমেন্টে ব্যর্থ হয়েছিলেন টমাস আলভা এডিসন। কিন্তু থেমে যাননি। চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। আত্মবিশ্বাস ও চেষ্টার কারণে পরবর্তী জীবনে তিনি হয়েছেন বিশ্বখ্যাত ব্যক্তি। আবিষ্কার করেছেন   বাতি, চলচ্চিত্র, অডিও রেকর্ডিং, এনক্রিপটেড টেলিগ্রাফ সিস্টেম ও আধুনিক ব্যাটারি। তার যুগান্তকারী আবিষ্কার পৃথিবীকে বহুগুণ এগিয়ে দিয়েছে।  

0017 8 linnet

অথচ টমাস আলভা এডিসন যখন স্কুলে পড়তেন। তাকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার সময় চিঠিতে লেখা হয়েছিল, ছেলেটা নির্বোধ, অমনযোগী এবং তার মেধা অপিরপক্ক। টমাসের মা চিঠি খুলে ছেলেকে নিজের মত করে পড়ে শুনিয়েছিলেন, ‘টমাসের মেধা সাধারণ ছাত্রদের চেয়ে অনেক বেশি, তাকে পড়ানোর ক্ষমতা আমাদের নেই’। এরপর এডিসনকে মা বাসায় পড়াতে শুরু করলেন। শেখালেন আত্মবিশ্বাস। মায়ের থেকে শেখা আত্মবিশ্বাসের কারণেই টমাস আলভা এডিসন হয়েছেন বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানী।

009 7 linnet

আব্রাহাম লিংকনকে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বকালের সেরা প্রেসিডেন্ট ধরা হয়। তিনি ১৮৬৩ সালের ১ জানুয়ারি দাসপ্রথা বিলুপ্ত করেন। পৃথিবীর ইতিহাসে তিনি অন্যতম সফল মানুষ, এতে কোনো সন্দেহ নেই। অথচ এই মানুষের জীবন ব্যর্থতায় ভরা।

অতি দরিদ্র পরিবারে তার জন্ম। বন্ধুদের বই ধার নিয়ে পড়াশোনা করে যতদূর শিক্ষা অর্জন করেছেন সেটাই তার সারা জীবনের পুঁজি। ১৮৩৩ সালে তিনি পোস্ট মাস্টার হিসেবে চাকরি শুরু করেন। ১৮৩৬ সালে পোস্ট অফিস বন্ধ হয়ে গেলে তার চাকরিও চলে যায়। একই বছরে তিনি হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের সদস্য হওয়ার জন্য নির্বাচন করেও হারেন। ১৮৪৮ সালে ওয়াশিংটনের জেনারেল ল্যান্ড অফিসের কমিশনার হওয়ার জন্য নির্বাচন করে পরাজিত হন। এরপর ৪৯ বছর বয়সে সিনেটর হওয়ার জন্য নির্বাচন করলে সেখানেও তার শোচনীয় পরাজয় হয়। শখ ছিল ওকালতি করবেন। কিন্তু ১৮৪৯ সালে সুপ্রিম কোর্টে কেস লড়তে গিয়ে হেরে যান।

0013 8 linnet

জীবনের এসব পরাজয়ে মোটেও বিচলিত ছিলেন না আব্রাহাম লিংকন। থেমে যায়নি তার পথচলা। ১৮৬১ সালে ৫২ বছর বয়সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করে বিজয়ী হন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ৩৫ লাখেরও বেশি ক্রীতদাস মুক্ত করেন। তিনি দিয়েছিলেন গণতন্ত্রের যুগান্তকারী সংজ্ঞা। যে সংজ্ঞা আজ প্রতিটা সভা-সমাবেশে অসংখ্য মানুষের মুখে উচ্চারিত হয়।

যদি জিজ্ঞস করা হয় যে, পৃথিবীর সেরা বিজ্ঞানী কে? অধিকাংশ মানুষের উত্তর হবে আলবার্ট আইনস্টাইন। বর্তমানে এ বিজ্ঞানীকে বিশ্বের সেরা মেধাবী বলে বিশ্বাস করা হয়। অথচ একটা সময় পর্যন্ত তাকে গর্ধভ মনে করা হত। ছিলেন দুর্বল মেধার অধিকারী। ১৬ বছর বয়সে জুরিসের সুইস ফেডারেল পলিটেকনিক স্কুলের ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছিলেন। ডিপ্লোমা পড়ার সময় সহপাঠীদের মধ্যে তার ফলাফল ছিল সবচেয়ে খারাপ। মনের কষ্টে অনেকবার পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার কথা চিন্তা করেছিলেন। একাধিকবার বুঝালেও তাকে পড়া বুঝানো যায় না, এমন অভিযোগ এনে আইনস্টাইনকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। আইনস্টাইনের সন্তান এডুয়ার্ড প্রায়ই গুরুতর অসু্স্থ পড়তো এবং দিনের অধিকাংশ সময় বিছানায় শুয়ে থাকতো। সন্তানের এ অবস্থা আইনস্টাইনকে বিষণ্ন করে রাখতো। নিজের ব্যর্থতা এবং সন্তানের অসুস্থতা এত কিছুর পরেও আইনস্টাইন থেমে থাকেননি আইনস্টাইন। তার অধ্যাবসায় এবং সাধনা তাকে বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী বানিয়েছে। পদার্থবিজ্ঞানে তাকে এনে দিয়েছে নোবেল পুরস্কার।

0016 8 linnet

শৈশব থেকেই ব্যর্থতা যার নিত্যসঙ্গী এ মানুষটার নাম হলো জ্যাক মা। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০বার চেষ্টা করেও ভর্তির সুযোগ পাননি। চীনে কেএফসিতে চাকরির জন্য ২৪জন আবেদন করেন। ২৩ জনের চাকরি হয়ে যায়। বাদ পড়েন একজন; তিনি হলেন জ্যাক মা! চালু করেছিলেন দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। দুটিতেই ব্যর্থ হয়েছেন। আলিবাবার আইডিয়া যখন তার মাথায় এলো, তখন তিনি তা বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করলেন। সবাই তার আইডিয়া হেসে উড়িয়ে দিল। কিন্তু জ্যা মা-র ছিলো প্রবল ইচ্ছাশক্তি। তিনি ঘুরে দাঁড়ালেন। সবার অবজ্ঞা তুচ্ছ করে নিজেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিলেন। অবশেষে হয়ে গেলেন বিশ্ব বরেণ্য উদ্যোক্তা এবং অসংখ্য অবসাদগ্রস্ত মানুষের অনুপ্রেরণা।

003 7 linnet

সম্প্রতি বাজারে আইফোন ১৪ এবং আইফোন প্রো এনেছে অ্যাপল। অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের নাম বিশ্বের সবাই জানে। স্টিভ জবস ছিলেন ক্যান্সারে আক্রান্ত। অস্ত্রোপচার করার পরেও ফিরে এসেছিল ক্যান্সার। তিনি বুঝে গিয়েছিলেন, তার আয়ু আর বেশিদিন নেই। কিন্তু মৃত্যুর ভয়ে চুপসে যাননি। কাজের মাধ্যমে অমর হয়ে থাকার জন্য পরিশ্রম করেছেন। প্রতিষ্ঠা করেছেন অ্যাপল। ২০১১ সালের ৫ অক্টোবর স্টিভ জবস মারা গেলেও তার প্রতিষ্ঠান অ্যাপল দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে। প্রতিবছরই বিশ্বের মানুষকে নতুন নতুন আইফোন উপহার দিচ্ছে। মানুষ যখনই আইফোন হাতে নেয়, তখনই স্টিভ জবসের অবদান মনে করে। অসুস্থতা যেন আমাদের অনুপ্রেরণা হয়, সে চেষ্টা করতে হবে আমাদের।

0012 7 linnet

মার্কিন টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব অপরাহ গেইল উইনফ্রে বিশ্বের অন্যতম আলোচিত ব্যক্তিত্ব। পেয়েছেন এমি পুরস্কার। বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে ধনী আফ্রো-মার্কিন নারী। অথচ অপরাহ ১৪ বছর বয়সে ধর্ষিতা হয়েছিলেন। ধর্ষণের শিকার হয়ে তিনি গর্ভবতী হয়েছিলেন। জন্ম দিয়েছিলেন পুত্রসন্তান। কিন্তু সে সন্তান বেশিদিন বাঁচেনি। যখন তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল, তখন তিনি বলতে পারেননি ধর্ষণের ভয়াবহতার কথা। লজ্জায় নিজেকে লুকিয়েও নেননি। মন খারাপ করে নিজেকে আড়াল করেননি। চেষ্টা করেছেন। সাধনা করেছেন। দেখতে কালো। বাবা-মায়ের সম্পদ নেই।  গরীব পরিবারের মেয়ে তিনি। এসব ভেবে সময় নষ্ট করেননি। সাধনা ও চেষ্টার কারণে আজ তিনি বিশ্বের অসংখ্য নারীর অনুপ্রেরণা।

005 7 linnet

ঝিকরগাছার বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন শারীরিক প্রতিবন্ধী তামান্না। বাঁ পা দিয়ে লিখে পেয়েছেন জিপিএ-৫। এর আগে পিইসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। 

নিজের স্বপ্নপূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা ও দেখা করতে চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন তামান্না। সেই চিঠি তার বাবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুল হকের কাছে জমা দেন। পরে ওই চিঠি জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠান ইউএনও। সেই চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী, শেখ রেহানা এবং শিক্ষামন্ত্রী তাকে ফোন দেন। তামান্নার স্বপ্ন পূরণ হয়। এখন তিনি উচ্চশিক্ষায় ব্যস্ত আছেন।

002 8 linnet

মাত্র কয়েকদিন আগে আরটিভির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা নিউজ প্রকাশিত হল, আলতাফ হোসাইন ওরফে দুখু মিয়া নামের একজন মানুষের জন্ম থেকেই দু’হাত নেই। তার হাত না থাকার কারণে বাবা-মা তার নাম দিয়েছে দুখু মিয়া। কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাকে পড়াশোনার সুযোগ দিতে চায়নি। অনুরোধ করে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাকে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে তিনি পা দিয়ে লিখেই ক্লাসে প্রথম হতে শুরু করেন। তার এই সাফল্য সহপাঠীদের কষ্ট দিত। তারা দুখু মিয়াকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতেন। কিছুদূর পড়াশোনা করে চাকরির জন্য আবেদন করেন। কিন্তু সবার চাকরি জুটলেও তার কপালে জুটেনি কোনো চাকরি। অদম্য দুখু মিয়া নিজেই নরসিংদীতে প্রতিষ্ঠা করেন একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখন তার বিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থী। নিজে চাকরি না পেলেও, এখন তিনি চাকরি দেন। গণমাধ্যমে এখন উঠে আসছে তার সফলতা। প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।

0010 9 linnet

তাসনুভা আনান শিশিরের নাম কি মনে আছে? যিনি ২০২১ সালের ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বৈশাখী টেলিভিশনে তার প্রথম সংবাদ বুলেটিন উপস্থাপন করেছিলেন। তাসনুভা একজন ট্রান্সজেন্ডার নারী। তৃতীয়লিঙ্গের হওয়ার কারণে তাসনুভার সঙ্গে কেউ বন্ধুত্ব করে নাই। ভালো আচরণ করে নাই অধিকাংশ মানুষ। সহপাঠীরাও তাকে দূরে দূরে রাখতো। পরিবার থেকেও ছিলেন বিচ্ছিন্ন। সংবাদ উপস্থাপন করতে হলে শুদ্ধ ও চমৎকার বাচনভঙ্গি থাকতে হয়। এতসব দুঃখ ও কষ্টের পরেও তাসনুভা নিজেকে করে তুলেছেন যোগ্য। ফলে বাংলাদেশের মানুষ তাসনুভার নাম শুনতে পেয়েছে। তাসনুভাকে দেখতে পেয়েছে। এখন তিনি সম্মানের সঙ্গে কাজ করছেন। সবাই তাচ্ছিল্য করে, বেঁচে থেকে কী লাভ? এমন চিন্তা করে তাসনুভা নিজেকে যদি মেরে ফেলতেন, তবে আজ সাফল্য ছোয়া হতো না তাসনুভার।

0022 7 linnet

বর্তমানে বাংলাদেশে আত্মহত্যার পরিমাণ বেড়েছে। বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০২২ এর জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রতিমাসে গড়ে ৪৫জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। প্রেমঘটিত কারণে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। স্কুল থেকে মাদরাসা; আত্মহত্যা থেকে কেউ মুক্ত নয়। চাকরি হয় না, এজন্য আত্মহত্যা। মোবাইল হাত কেড়ে নেওয়া হয়েছে এজন্য আত্মহত্যা। জীবনটা অনেকের কাছে একদম তুচ্ছ। অথচ এ জীবন কাজে লাগিয়ে বিশ্বখ্যাত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। আকাশে কালো মেঘ দেখলে ভয় লাগে, আড়ালে লুকিয়ে হাসে সূর্য। বিকট আওয়াজে বজ্রপাত হলে আমরা ভীত হই, কিছুক্ষণ পরেই হয় শান্তির বৃষ্টি।

0023 5 linnet

প্রতিটা প্রতিকূল অবস্থার অনূকুল অবস্থা আছে। আমরা প্রতিকূল অবস্থা দেখেই ঘাবড়ে যাই, অনূকুল অবস্থা দেখার জন্য সময় দিতে বা নিতে চাই না। এই মানসিকতা আমাদের শেষ করে দিচ্ছে। আমাদের ইতিবাচক হতে হবে। প্রতিকূল অবস্থায়ও আত্মবিশ্বাস ধরে রাখা শিখতে হবে। জীবনটা তুচ্ছ নয়। স্রষ্টার দেওয়া অনেক মূল্যবান সম্পদ। এ সম্পদ কাজে লাগিয়ে নিজেকে এগিয়ে নিতে হবে এবং বিশ্বকে এগিয়ে দিতে হবে।

এজন্য বলি. Be positive, Think positive, Do positive.

ছবি- ফ্রিপিক

পাঠকরা যা বলছেন
A side profile of a woman in a russet-colored turtleneck and white bag. She looks up with her eyes closed.
জিনিয়া পারভীন
"আমি শুধু বলতে চাই আপনার নিবন্ধগুলির জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ! আমার প্রবলেম ছিল, এখানে প্রাপ্ত সমস্ত তথ্য অত্যন্ত সাহায্য করেছে। আপনি আমাকে আশা এবং দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।"

0011 linnet
"আমাদের মেইলিং তালিকায় সদস্যতা নিতে পৃষ্ঠার নীচে আপনার ইমেল ঠিকানা লিখতে ভুলবেন না, যাতে আপনি সর্বশেষ বিষয়বস্তু, নতুন পণ্য এবং লেটেষ্ট ব্লগ এর নোটিফিকেশন  দ্রুত পেতে পারেন ।"
লিখাটি নিয়ে আপনার অভিমত কি?
Shop at Linnet
Total
0
Shares

Leave a Reply