তারিন ও তানিম একসাথে পড়াশোনা করতো। সেখান থেকে তাদের পরিচয়। পরিচয় থেকে ভালোবাসা ও প্রেম। এভাবে একে অপরকে আট বছর ভালোবাসে তারা। হঠাৎ তারিনের আচরণে পরিবর্তন এসেছে। সে তানিমকে গুরুত্ব দেয় না। দূরে দূরে থাকে। ফোন দিলে ধরে না। অনেক চেষ্টা করেও তানিম বুঝতে পারলো না যে, তারিনের সমস্যা কী? দুঃখ-কষ্টে তানিম অসুস্থ হয়ে গেল। একদিন তারিনের ফোন এলো। তানিম বুকভরা আশা নিয়ে ফোন ধরলো। মলিনকন্ঠে তারিন বললো, আমি তোমাকে ভালোবেসেছি এবং এখনও ভালোবাসি। কিন্তু আমার কিছু করার নেই। আমার পরিবার তোমার সাথে আমাকে বিয়ে দিবে না। তারা আমার জন্য ছেলে পছন্দ করেছে। দুই সপ্তাহ পর তার সাথে আমার বিয়ে। এ কথা শুনে তানিম অজ্ঞান হয়ে গেল। হাত থেকে পড়ে গেল ফোন।

সবাই তানিমকে বোঝাতে শুরু করলো, এসব স্বাভাবিক ঘটনা। মানুষের জীবনে এরকম হয়। তানিমের এক কথা, তারিন আমার সাথে প্রতারণা করেছে, সে আমাকে মন থেকে ভালোবাসেনি। মন থেকে ভালোবাসলে সে অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারতো না। তানিমের বন্ধু রাফি বললো, দোস্ত, তারিন তোকে ভালোবেসেছে। তোর সাথে প্রতারণা করেনি। তবে ভালোবাসায় উত্থানপতন হয়। তারিনের ভালোবাসায় এখন পতন এসেছে। এজন্য সে তোকে বিয়ে না করে অন্য কাউকে করছে। কিন্তু তানিমের এক কথা, তারিন আমার সাথে প্রতারণা করেছে। আমাকে ভালোবাসেনি। ভালোবাসার নামে ছলচাতুরি করেছে। রাফি তানিমকে বললো, দোস্ত, তারিন তোকে ছেড়ে চলে গেছে। এখন তার কথা বাদ দে। আয় আমরা ভালোবাসা নিয়ে আলোচনা করি। ভালোবাসা কাকে বলে, কত ধরনের হতে পারে এবং সেই ধরনগুলোর নাম কী ইত্যাদি। এতে নতুন একটা বিষয়ে আমাদের জ্ঞান বাড়বে। রাফি নেটে সার্চ দিয়ে ভালোবাসার সংজ্ঞা পেল। ভালোবাসার অনেক ধরনও পেল। কিন্তু রাফি ও তানিমের প্রয়োজন মোটা মোটা কিছু ধরন। অনেক খোঁজ করে সেগুলোও তারা পেয়ে গেল। রাফি ও তানিম যা খুঁজে পেল, নিচে তা তুলে ধরা হচ্ছে।

ভালোবাসার সংজ্ঞা
ভালোবাসা হল আবেগ ও আচরণের এমন এক সমন্বয়; যেখানে একে অপরের দুঃখে দুঃখিত হয় এবং সুখে আনন্দিত হয়। যে সম্পর্কে থাকে পারস্পরিক আকর্ষণ, যত্ন, ঘনিষ্ঠতা, বিশ্বাস, প্রতিশ্রুতি ও দায়িত্ব। সময় ও অবস্থার পরিবর্তনের কারণে ভালোবাসার পরিমাণেও পরিবর্তন আসতে পারে। কখনও ভালোবাসা বাড়তে পারে আবার কখনও কমতে পারে।
ভালোবাসার ৮ ধরন
Eros কামুক ও আবেগপূর্ণ ভালোবাসা। এ ভালোবাসা মানুষ ও প্রাণী সবার মধ্যে রয়েছে। এ ভালোবাসার কারণে নারী-পুরুষ একে অপরকে ভালোবাসে। পরস্পরে যৌনতার সম্পর্ক হয়। একে অপরের দায়িত্ব নেয়। ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠে। একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত একজনের সবকিছু আরেকজনের কাছে ভালো লাগে। একজন ছাড়া আরেকজন চলতে পারে না। সারাক্ষণ কল্পনায় একে অপরকে দেখতে থাকে। এ ভালোবাসা স্থায়ী বা ক্ষণস্থায়ী দুটোই হতে পারে। যেমন: একজন আরেকজনকে ভালোবেসে বিয়ে করেছে। আমৃত্যু দু’জন একসাথে কাটিয়ে দিল। অন্যদিকে একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছে ঠিকই, কিন্তু বিয়ের পর ঝামেলা শুরু হল। ডিভোর্স হয়ে গেল।
Philia বন্ধু ও সমবয়সীদের প্রতি ভালোবাসা। বয়স্ক মানুষ দেখলে ছোটরা নিজেকে গুটিয়ে নেয়। বয়স্ক মানুষ যত ফ্রি হোন না কেন, ছোটরা তাদেরকে সবকিছু বলতে চায় না। অন্যদিকে বয়সে ছোট, এমন কাউকে দেখলেও মানুষ চুপ হয়ে যায়। এখানে নিজের সম্মান রক্ষার্থে মানুষ এমনটা করে। কিন্তু সমবয়সী কাউকে দেখলে মানুষের আলাদা এক আকর্ষণ তৈরি হয়। যে আকর্ষণের কারণে অল্প সময়ের মধ্যে একে অপরের ঘনিষ্ঠ হয়ে যায়। শুরু করে নানান কথা। একপর্যায়ে ইরান-তুরানের গল্প শেষ করে প্রেম-ভালোবাসা এবং গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ডের গল্প শুরু করে। সবশেষে ফোন নাম্বার আদান প্রদান হয় এবং ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠায়।

অন্যদিকে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বিষয়টা হলো এমন, বয়সে অনেক তফাৎ। দশ বছরের ছোট বা বড়। কিন্তু পড়াশোনা করতে গিয়ে বন্ধুত্ব হয়ে গেছে। একসাথে কাজ করতে করতে বন্ধুত্ব হয়ে গেছে। কোথাও পরিচয় হয়েছিল, সে পরিচয় থেকে কথাবার্তা এবং এক পর্যায়ে বন্ধুত্ব। যখন কোনো মানুষের মাঝে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তখন বয়সে কোনো ভেদাভেদ থাকে না। একে অপরকে নাম ধরে ডাকছে। মনের সব কথা একজন আরেকজনের সঙ্গে শেয়ার করছে। একসাথে ঘুরছে ও ফিরছে। কেউ যদি বলে, এই বুড়ো মানুষটার সঙ্গে তোমার বন্ধুত্ব? তখন উত্তর দেওয়া হয়- Friends forever।
মনে রাখতে হবে- এ ভালোবাসর সম্পর্কে আবেগ থাকলেও কোনো যৌনতা থাকে না। যদি কখনো বন্ধুত্বের সম্পর্কে যৌনতার মানসিকতা চলে আসে বা যৌন কর্মকান্ড হয়, তাহলে বুঝতে ভালোবাসা আর Philia নেই। Eros হয়ে গেছে।
Lududs অস্থায়ী বা আচমকা ভালোবাসা। আপনি কোনো শিশুকে দেখলেন, খুব ভালো লেগে গেল। তাকে অনেক আদর করতে থাকলেন। এরপর বিদায় বেলায় তাকে ছেড়ে আসতে আপনার কলিজা ফেটে যাচ্ছে। একইভাবে আপনি কোনো নারীকে বা পুরুষকে দেখলেন। আপনার ভালো লাগলো। লম্বা সময় কথা বললেন। রশিকতা করলেন। যখন ছেড়ে যাচ্ছেন তখন মনের অজান্তে চোখ দিয়ে পানি চলে আসলো। পরবর্তীতে ফোন দিয়ে খোঁজ খবর নিলেন। একপর্যায়ে যোগাযোগ কমে গেল। দু’জন দু’জনকে ভুলে গেলেন। অনেক দিন পর আবার দেখা বা কথা হলে, স্মৃতিচারণ শুরু করলেন। আবার খানিকটা যোগাযোগ বাড়লো।
আবার এই ভালোবাসার মাধ্যমে ধীরে ধীরে আপনার ভালোবাসা Philia ভালোবাসা পর্যন্ত গড়ালো। আপনারা সারাজীবনের জন্য ভালো বন্ধু হয়ে গেলেন। এমনও হতে পারে যে, আপনাদের এই ভালোবাসা গড়াতে গড়াতে Eros ভালোবাসা পর্যন্ত পৌঁছে গেল। আপনারা পরস্পর স্বামী-স্ত্রী হয়ে গেলেন।

Philautia নিজেকে ভালোবাসা। নিজেকে ভালোবাসার প্রচলন নতুন কিছু নয়। প্রাচীন গ্রীক বা তারও আগ থেকে এ প্রচলন শুরু হয়েছে।
গ্রীকরা মনে করতো, যে নিজেকে ভালোবাসতে পারে, সে অন্যকেও ভালোবাসতে পারে। তার ভালোবাসার ক্ষমতা অনেক শক্তিশালী। পক্ষান্তরে যে নিজেকে ভালোবাসতে পারে না, সে অন্যকেও ভালোবাসতে পারে না। এজন্য গ্রীকরা কাউকে ভালোবাসার আগে যাচাই করে নিত যে, সে নিজেকে ভালোবাসে কি না! অ্যরিস্টোটল বলেছেন, দুনিয়ার সব মানুষকে ভালোবাসলেও, নিজেকে ভালোবাসার সমতুল্য হতে পারে না।
নিজেকে ভালোবাসার অনেক কারণ আছে।
নিচে কয়েকটা কারণ তুলে ধরা হচ্ছে-
১- যাকে প্রয়োজন আমি তাকে ভালোবাসছি। পাশাপাশি নিজেকেও ভালোবাসছি। কারণ, নিজেকে ভালোবাসলে আমার নিজের উন্নতি হবে। পার্থিব উন্নতি হবে এবং হবে পরলৌকিক উন্নতি। অন্যদিকে যদি আমি শুধু মানুষকেই ভালোবেসে যাই, নিজেকে ভালোবাসার সময় না পাই। তাহলে আমার জীবনে, কখনই হয়তো উন্নতি হবে না। এমনকি এমন সময় আসবে, যখন আমার ভালোবাসার মানুষগুলোও আমার পাশে থাকবে না।
২- আমাকে কেউ ভালোবাসে না। কেউ কাছে টানে না। গুরুত্ব দেয় না কেউ। আমি সবার থেকে দূরে সরে গেলাম। নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে নিলাম সব জায়গা থেকে। এখন কেবল নিজেকে ভালোবাসতে শুরু করলাম। নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত হয়ে গেলাম। কারো সাথে আমি ইচ্ছা করেই কথা বলি না। কাউকে কাছে ডাকি না এবং কেউ ডাকলেও যাই না। একলা খাই। একলা ঘুরে বেড়াই। একলাই পথ চলি। এভাবে নিজেকে ভালোবাসলে মানুষ একটা সময় পর মানসিক রোগী হয়ে যায়। পরিবার ও সমাজের বিরক্তির পাত্রে পরিণত হয়।

৩- নার্সিসিজম বা আত্মমুগ্ধতা। অর্থাৎ আমি দেখতে সবার থেকে সুন্দর। আমি সবচেয়ে জ্ঞানী। আমি সবচেয়ে ধনী। অন্য মানুষ আমার কাছে কিছুই না। এসব চিন্তা করে নিজেকে নিয়ে সবসময় ব্যস্ত থাকা। নিজেকে ভালোবাসতে গিয়ে অন্যকে অবজ্ঞা করা। এভাবে নিজেকে ভালোবাসলে, মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায় না। মানুষের ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়ে যেতে হয়। একটা সময় পর নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করতে হয়।
Philautia তখনই যথার্থ হবে, যখন অন্যদের ভালোবাসা ঠিক রেখে নিজেকে ভালোবাসা হয়। কিন্তু দুঃখেকষ্টে হোক বা অহংকারের কারণে হোক, যদি অন্যদের ভালোবাসা না দিয়ে এবং না নিয়ে কেবল নিজেকেই ভালোবাসা হয়, তখন Philautia আর Philautia থাকে না।
Mania ঈর্ষা জড়িত ভালোবাসা। আপনি অন্যের সন্তানকে আদর করছেন, আপনার সন্তান তা মেনে নিতে পারছে না। সে বার বার বাধা দিচ্ছে এবং তাকে আদর করার জন্য আপনাকে বাধ্য করছে। শিশুর বেলায় এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য। কিন্তু যদি বড়দের থেকে এমন আচরণ প্রকাশ পায়, তা সত্যিই ভাবিয়ে তোলে।
মনে প্রশ্ন আসে, কেন তিনি অবুঝের মত আচরণ করছেন। ভাবছেন, অন্যকে ভালোবাসলে বড়রা ঈর্ষান্বিত হয় নাকি? উত্তর হল, জি, হয়। আপনার দু’জন বন্ধু। একজনকে নিয়ে আপনি খেতে গেলেন। আরেকজন এ বিষয়টা শুনতে পেলেন। যিনি শুনতে পেলেন, তিনি মন খারাপ করে আপনার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিলেন। তবে একটা বিষয় লক্ষ্যণীয়, বিয়ের পর স্ত্রী যদি আপনাকে অন্য নারীর সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে চলতে দেখে, তার মন খারাপ হবেই। এটা Mania ভালোবাসা হলেও নিন্দনীয় নয়।

Pragma টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী ভালোবাসা। এই ভালোবাসায় ধৈর্য্য, সহনশীলতা, বিশ্বাস, সাহায্য ও উপকারে ভরপুর থাকে। ফলে যুগের পর যুগ স্বামী-স্ত্রী একসাথে সংসার করতে পারে। বন্ধুরা একে অপরকে অন্ধ বিশ্বাস করতে পারে। কোনো চিন্তাভাবনা ছাড়াই এক সহকর্মী আরেক সহকর্মীকে চাকরি দিতে পারে। টাকা ধার দিতে পারে। স্বাভাবিকভাবে যে ভালোবাসায় একযুগ পূর্ণ হয়, তাকে দীর্ঘস্থায়ী ভালোবাসা বলা হয়। তবে Pragma দ্বারা মূলত এমন ভালোবাসা বুঝানো হয়, যা আমৃত্যু টিকে থাকে। যে ভালোবাসার শুরু আছে, শেষ নেই। যে বন্ধন কেবল মৃত্যুর মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন হয়।
Storge: সন্তানের জন্য পিতামাতার ভালোবাসা। একজন সন্তান দুনিয়ায় যখন আসে, তখন মায়ের কী পরিমাণ যে কষ্ট হয়, তা একজন মা-ই- বোঝেন। অন্যদিকে বাবার কষ্ট ভিন্ন ধরনের। বাবা যেখান থেকে পারছেন, কষ্ট করে আয় করছেন। সে আয় দিয়ে সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন। নিজে কষ্ট করে চলে, সন্তানকে ভালো রাখার চেষ্টা করছেন। নিজে যে কষ্ট করে চলছেন, তা সন্তানকে বুঝতে দিচ্ছেন না। বাবা-মা সন্তানের জন্য এত এত কষ্ট করে , সন্তানকে বড় করেন। এরপর লেখাপড়া করান। লেখাপড়া শিখে সন্তান ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারসহ অনেক কিছু হয়। এরপর বিয়েশাদি করে। বাবা-মায়ের প্রতি সেরকম খেয়াল থাকে না সন্তানের। কোনো কোনো সন্তান তো তাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে। এরপরও বাবা-মা সন্তান ছাড়া কিছুই বোঝে না। সন্তানের কষ্ট দেখলে সহ্য করতে পারে না। হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে। আমৃত্যু সন্তানকে নিয়েই বাঁচতে চায়।

Agape: মানবজাতির ভালোবাসা। বাংলায় প্রবাদ আছে ‘মানুষ মানুষের জন্য’। মানুষ মানুষের নানান উপকার করে, নিজের ভেতরে সৃষ্ট বা লুকিয়ে থাকা ভালোবাসা থেকে।
ছোট শিশুকে কেউ যদি দেখে যে, সে বিপদে পড়তে যাচ্ছে। তাকে মানুষ বিপদ থেকে সরিয়ে আনতে সাহায্য করে। কোনো বয়স্ক মানুষকে দেখলে মানুষ চেয়ার ছেড়ে, তাকে বসতে দেয়। শিশু দেখলে চুমু দেয়। খাওয়ায় দেয়। এ সবকিছুই ভালোবাসা।
কোনো মানুষ বিপদে পড়লে, কখনো চড়ুই পাখিকে দেখবেন না এগিয়ে আসতে। কিন্তু কোনো চড়ুই পাখি বিপদে পড়লে মানুষ ঠিকই এগিয়ে যায়। সে পাখির যত্ন নেয়। তাকে সুস্থ করে তুলতে সাহায্য করে। একইভাবে আপনার যদি পোষা কুকুর না হয়, তাহলে সে কুকুর আপনার উপকারে এগিয়ে আসবে না। বরং আপনাকে দেখলে চিল্লাতে থাকবে। কিন্তু কোনো কুকুরকে যদি মানুষ বিপদে পড়ে যেতে দেখে, তাহলে মানুষ এগিয়ে যায়। সে কুকুরকে সাহায্য করে। এটাই হচ্ছে মানবজাতির বৈশিষ্ট। তাকে সৃষ্টিকর্তা বিশেষ ভালোবাসা দিয়েছেন। যে ভালোবাসা দিয়ে বিশ্ব জয় করা যায়।

প্রিয় পাঠক, চলুন ফিরে যাই আবার গল্পে। তানিম এ লেখাগুলো অনেক মনযোগ দিয়ে পড়লো। রাফিকে ধন্যবাদ দিয়ে বললো, দোস্ত, কখনো কখনো বিচ্ছেদ মানুষের জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করে। তারিনের সাথে আমার বিচ্ছেদ না হলে, আমি এ ব্যাপারে অজ্ঞই থেকে যেতাম!
ছবি- ফ্রিপিক
পাঠকরা যা বলছেন

"আমি শুধু বলতে চাই আপনার নিবন্ধগুলির জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ! আমার প্রবলেম ছিল, এখানে প্রাপ্ত সমস্ত তথ্য অত্যন্ত সাহায্য করেছে। আপনি আমাকে আশা এবং দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।"

"আমাদের মেইলিং তালিকায় সদস্যতা নিতে পৃষ্ঠার নীচে আপনার ইমেল ঠিকানা লিখতে ভুলবেন না, যাতে আপনি সর্বশেষ বিষয়বস্তু, নতুন পণ্য এবং লেটেষ্ট ব্লগ এর নোটিফিকেশন দ্রুত পেতে পারেন ।"
লিখাটি নিয়ে আপনার অভিমত কি?