হৃদয় দিয়ে হৃদয়ের যত্ন নিন
২৯ সেপ্টেম্বর পালিত হল ‘বিশ্ব হার্ট দিবস’। এ বছর ‘বিশ্ব হার্ট দিবসে’র প্রতিপাদ্য ছিল “Use Heart, For Every Heart.” অর্থাৎ হৃদয় দিয়ে হৃদয়ের যত্ন নিন।
১৯৭৮ সালে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব কার্ডিওলজি এবং ইন্টারন্যাশনাল কার্ডিওলজি ফেডারেশন সম্মিলিতভাবে কাজ করতে থাকে। পরে ১৯৯৮ সালে এ দুটি সংস্থা এক সংস্থায় পরিণত হয়ে যায়। নাম পরিবর্তন করে -দ্য ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশন রাখা হয়।
২০০০ সাল থেকে এ ফেডারেশন বিশ্বের সব মানুষকে হৃদরোগ ও স্ট্রোক সম্পর্কে সচেতন করার জন্য ২৯ সেপ্টেম্বর -বিশ্ব হার্ট দিবস হিসেবে পালন শুরু করে। তাদের এ দিবস বিশ্বে জনপ্রিয়তা পায়। এরপর থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশ প্রতি বছর ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ব হার্ট দিবস’ পালন করছে।
বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশেও ২৯ সেপ্টেম্বর পালিত হয়েছে-বিশ্ব হার্ট দিবস। এ দিবসে উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম ছিল, বিভিন্ন হাসপাতালে হার্টের রোগীদের বিনামূল্যে পরামর্শ এবং হার্টের চিকিৎসায় ছাড় দেওয়া।
এবারের প্রতিপাদ্য অনুযায়ী হৃদয় দিয়ে হৃদয়ের যত্ন নিতে হলে সর্বপ্রথম হার্ট সুস্থ রাখতে হবে। হার্ট সুস্থ রাখতে হলে যা করতে হবে তা তুলে ধরছি।
খাবার বিষয়ে সচেতন হতে হবে
আঁশযুক্ত এবং যে খাবারে প্রচুর ফাইবার আছে এমন খাবার শরীরে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে। এ ব্যাকটেরিয়া শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এজন্য বেশি করে আঁশ ও ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া। শিম, আলু, মটরশুঁটি, কলাই, সবজি ও ফলমূলে প্রচুর আঁশ রয়েছে।
যেসব খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাট (জমাট বাঁধা চর্বি) থাকে, সেসব খাবার থেকে বিরত থাকা। কারণ এসব খাবার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
ভিটামিন ও খনিজযুক্ত খাবার খাওয়া
খনিজ ও ভিটামিন উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করে। এজন্য যেসব খাবারে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ বেশি আছে, সেসব খাবার খাওয়া। এ খাবারগুলো আমাদেরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
শরীরের ওজন বেশি হলে, উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায়। এজন্য শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা। কোমরে যেন চর্বি জমে না যায়, তা খেয়াল রাখা। কোমরে চর্বি জমে গেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানো
অপরিমিত ঘুম হৃদরোগ, আলঝেইমার এবং এমনকি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নষ্ট করে দিতে পারে। এজন্য প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমানো। রাতে জেগে না থাকা। বরং রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাওয়া এবং ভোরে ঘুম থেকে ওঠা।
ব্যায়াম করা
সপ্তাহে অন্তত আড়াই ঘণ্টা ব্যায়াম করা। প্রতিদিন সকাল বা বিকেলে সাইকেল চালানো, দৌড়ানো এবং জগিং করা।
বাসা বা অফিসে লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি ব্যবহার করা। এতে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ হার্টের গতি বাড়ে। রক্ত চলাচল গতিশীল হয়।
সাঁতার কাটলে শরীরে সার্বিক ব্যায়াম হয়। সাঁতার কাটলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫৯০ ক্যালোরি খরচ হয়। ফলে সুস্থ থাকে হার্ট।
মানসিক চাপ কমিয়ে আনা
যতদিন বেঁচে আছি ততদিন মানসিক চাপ থাকবে। এরপরেও ইতিবাচক চিন্তা ও কাজ করে মানসিক চাপ কমিয়ে আনা। মনে রাগ ও ক্ষোভ জমিয়ে না রাখা। অসৎ কাজ মানসিক দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দেয়। তাই অসৎ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা। অপরাধমুক্ত জীবন মনে প্রশান্তি আনে। মনে প্রশান্তি থাকলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে যায়।
ডার্ক চকোলেট খাওয়া
রাতে খাবার খাওয়ার পর এক টুকরো ডার্ক চকোলেট খেলে, আপনার হার্ট সুস্থ থাকবে। পাশাপাশি তৃপ্তিও পাওয়া যাবে। ডার্ক চকোলেটে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েড। যা হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
মুখের যত্ন নিন
চিকিৎসকের কাছে গেলে প্রথম আপনার জিহবা দেখতে চান। এর কারণ হল মুখের স্বাস্থ্য আপনার সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যের নির্দেশক। গবেষণায় দেখা গেছে, মুখের বিভিন্ন রোগের কারণে হার্টের রোগ হয়ে থাকে। এজন্য মুখের যত্ন নেওয়া। দাঁত এবং মাড়ি সুস্থ রাখতে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা। রাতে খাবার পর ব্রাশ করা এবং ভোরে ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষণ পর ব্রাশ করা। কারণ, ঘুম থেকে ওঠার পর দাঁতের মাড়ি নরম থাকে। তাই ঘুম থেকে ওঠার পর পর ব্রাশ করলে দাঁতের মাড়ির ক্ষতি হয়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা
যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে, তবে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীদের এথেরোসক্লেরোসিস বেশি হয়। ফলে তাদের হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে বেশি।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখা
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে, সাবধান থাকতে হবে। নিয়মিত রক্তচাপ মেপে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে। রক্তচাপে সমস্যা মনে হলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জীবন যাত্রায় পরিবর্তন এনে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। তাই প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমানো। মানসিক চাপমুক্ত থাকা। কোনো বিষয়ে নিজেকে অতিরিক্ত চাপে না রাখা।
কাচা লবণ না খাওয়া
কাচা লবণ শরীরে রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়াও খাবারের সাথে লবণ খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। দিনে এক চা চামচ থেকে দুই চা চামচ লবণ খাওয়া যেতে পারে।
যৌন কার্যকলাপ
হার্টের জন্য যৌন কার্যকলাপ অনেক উপকারী। যৌন কার্যকলাপের মাধ্যমে শরীর সতেজ থাকে। শরীর থেকে প্রচুর হরমোন নিঃসৃত হয়। ফলে মানসিক চাপ কমে। হৃদরোগ ও স্ট্রোকের অন্যতম কারণ হল মানসিক চাপ। এক্ষেত্রে বৈধ যৌন কার্যকলাপে মনযোগী হওয়া প্রয়োজন। অবৈধ যৌন কার্যকলাপসামাজিক ও ধর্মীয় অপরাধ। এর কারণে দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ বাড়ে। অনেক সময় অবৈধ যৌন কার্যকলাপের কারণে এইডসসহ নানান শারীরিক সমস্যাও সৃষ্টি হয়।
ধূমপান ছেড়ে দিন
সব বিড়ি ও সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে- ধুমপান মৃত্যুর কারণ, ধুমপানে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে এবং ধুমপানে হৃদরোগ হয়; এ জাতীয় লেখা। এত সতর্কতা পড়ার ও দেখার পরও, আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে ধুমপান করে, আমরা আমাদের অসুস্থ বানিয়ে ফেলছি। এটা অত্যন্ত বোকামি। এ বোকামি থেকে আজই আমাদের বের হয়ে আসা উচিৎ। ধুমপান না করে পুষ্টি ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে, শরীর সুস্থ রাখার প্রতি আমাদের মনযোগী হওয়া প্রয়োজন।
মদ্যপান পরিহার করা
যদি আপনার মদ্যপান করার অভ্যাস থাকে, তা পরিহার করতে হবে। অতিরিক্ত বা নিয়মিত মদ্যপান করলে শরীরে রক্তচাপ বেড়ে যায়। ফলে হৃদস্পন্দনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। যা একজন মানুষকে দ্রুত স্ট্রোক ও হৃদরোগে আক্রান্ত করে।
খেতে পারেন যেসব খাবার
সবুজ শাক–সবজি
শসা, চিচিঙা, লাউ ও পটলসহ সবুজ রংয়ের যে কোনো সবজি বেশি বেশি খাওয়া। এসব খাবারে ভিটামিন, ফাইবার, ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজ উপাদান রয়েছে। তাই ক্যানসার এবং হার্টজনিত সমস্যা সমাধানে অনেক সহায়ক সবুজ শাক-সবজি।
দই
দইয়ে আছে প্রোবায়োটিক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া। যা হার্টকে সুস্থ রাখে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়। এ ক্ষেত্রে মিষ্টি দইয়ের চেয়ে টক দই অত্যন্ত উপকারী। এজন্য প্রতিদিন খাবারের পর কয়েক চামচ দই খাওয়া।
সামুদ্রিক মাছ
সামুদ্রিক মাছে আছে ওমেগা-৩। গবেষণায় দেখা গেছে, ওমেগা–৩ রক্তে ট্রাইগ্লসারাইডের পরিমাণ এবং রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা কমায়। এই চর্বি রক্তচাপের তীব্রতাও কমায়। ফলে ওমেগা–৩ নিয়মিত খেলে এটি হার্ট অ্যাটক ও স্ট্রোক প্রতিরোধে সহায়ক হয়।
বাদাম
কাজু বাদাম, চীনা বাদাম এবং আখরোটসহ সব ধরনের বাদাম প্রোটিন, আঁশ, খনিজ, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। আখরোটে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড।এজন্য বাদাম খেলে শরীর সুস্থ থাকে। হার্ট স্ট্রোকের ঝুঁকিমুক্ত থাকে।
গ্রীন টি
আমরা সবাই কমবেশি চা পান করি। চায়ের মধ্যে সবুজ রংয়ের চা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এ চা রক্তে জমাট বাঁধতে দেয় না। শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাই একজন মানুষের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভবনা অনেকটাই কমে যায়।
হৃদরোগের কারণ
অতিরিক্ত মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, উচ্চ- রক্তচাপ, শরীরের অতিরিক্ত ওজন,পারিবারিক হৃদরোগ ইতিহাস, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ধূমপান, অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ,অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত মদ্যপান এবং অলস জীবনযাত্রা ইত্যাদি কারণে হৃদরোগ ও স্ট্রোক হয়ে থাকে।
হৃদরোগের লক্ষণ
বুকে ব্যথা
সাধারণত বুকের মাঝখানে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়। আস্তে আস্তে সেই ব্যথা চোয়ালে অথবা বাম কাঁধ ও হাতে ছড়িয়ে পড়ে থাকে।
শ্বাসকষ্ট
যদি হঠাৎ করে শ্বাস নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়, তবে সেটা খারাপ লক্ষণ। শ্বাসের কষ্ট দেখা দিলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।
অতিরিক্ত ঘাম হওয়া
হার্ট অ্যাটাকের আগে শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হয়। বুক ধড়ফড় করতে শুরু করে।
কাশি
কাশি হলে আমরা অনেকেই ঠান্ডার সমস্যা মনে করে গুরুত্ব দেই না। তবে দীর্ঘদিনের কাশির সমস্যা এবং তার সঙ্গে সাদা বা কিছুটা ঘোলাটে কফ বের হলে বুঝতে হবে হার্টে সমস্যা হচ্ছে। তাই এ সমস্যা অবহেলা না করা। অবহেলা করলে ভবিষ্যতে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
হার্টে সমস্যা হলে মানুষ হঠাৎ হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যায়। তাই হঠাৎ করে অজ্ঞান হলে, অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়া
দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়লে, বুঝতে হার্ট রোগাক্রান্ত হয়ে গেছে। এছাড়াও হাঁটতে গেলে এবং সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গেলে যদি কষ্ট হয়, বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি তৈরি হয় এবং অল্প কাজে হাঁপিয়ে যাওয়া হৃদরোগের লক্ষণ।
মাথা ব্যথা
মাথা ব্যাথা আমাদের কাছে খুবই সামান্য রোগ। মাথা ব্যাথা হলে আমরা নাপা বা নাপা জাতীয় ঔষধ খেয়ে চুপচাপ থাকি। অথচ মাথা ব্যাথা হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ! তাই নিয়মিত মাথা ব্যাথা হলে যথাযথ চিকিৎসা নেওয়া।
অনিয়মিত পালস রেট
কারণ ছাড়াই নিয়মিত পালস রেট ওঠানামা করলে, আপনাকে সচেতন হতে হবে। হার্ট অ্যাটাকের আগে এমনটা হয়ে থাকে।
হার্টের সমস্যা হলে যা করতে হবে
উপরে উল্লেখিত কোনো সমস্যা শরীরে দেখা দিলে বা বুকে ব্যাথা ও অস্বস্তি হলে, দ্রুত চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হতে হবে। এক্ষেত্রে একা একা চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে, পরিবারের কারো সহযোগিতা নেওয়া। হেঁটে হেঁটে না গিয়ে গাড়িতে করে যাওয়া। গাড়ি নিজে ড্রাইভ না করা।
হার্ট সুস্থ রাখতে পরামর্শ
ক্ষমা করে দেওয়া
মনের ভেতর ক্ষোভ পুষে না রাখা। এতে প্রতিশোধ নিতে মন চাবে। প্রতিশোধ নিলে ক্ষোভ তৈরি হবে। আর প্রতিশোধ নিতে না পারলে পুষে রাখা ক্ষোভ থেকে শরীরে তৈরি হবে নানান সমস্যা। এমনকি হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে।
ইগো ধরে না রাখা
অতিরিক্ত ইগো হার্ট অ্যাটাকের কারণ। কারণ অতিরিক্ত ইগো মনকে সব সময় অস্থির রাখে। এ অস্থিরতা থেকে মানসিক সমস্যা হৃদরোগ হয়।
সব পরিস্থিতি মানায় নেওয়া
সবসময় পরিস্থিতি অনুকূলে থাকে না। কখনও কখনও প্রতিকূলও হয়। চলমান উত্থানে পতনও আসে। এসবই জীবনের অংশ। এসব মেনে নেওয়া শিখতে হবে। এসব মেনে নিতে পারলে মনে কোনো অস্থিরতা কাজ করবে না। শরীর ভালো থাকবে। সুস্থ থাকবে হার্ট।
মেডিটেশন করা
প্রতিদিন কিছু সময় মেডিটেশন করা। এতে হার্ট ভালো থাকবে। শরীরও থাকবে রোগমুক্ত। মানসিক চাপমুক্ত থাকা যাবে।
উন্মুক্ত স্থানে শ্বাস নেওয়া
প্রতিদিন অল্প সময় হলেও প্রকৃতির সংস্পর্শে যাওয়া। প্রকৃতির সংস্পর্শে গিয়ে লম্বা লম্বা শ্বাস নেওয়া। লম্বা লম্বা শ্বাস নিলে দেহে প্রচুর অক্সিজেন প্রবেশ করে। দেহ থেকে টক্সিন এবং কার্বন-ডাই-অক্সিডেন নির্গত হয়। রক্ত অক্সিজেনেটেড হয়। দূষিত রক্ত পরিশোধনের হার বেড়ে যায়। দেহ থেকে অ্যান্ড্রোফিন নিঃসৃত হয়। শরীরে ব্লাড সার্কুলেশন ভালো হয়। ফলে শরীর ও মন ফুরফুরে থাকে। ঘুম ভালো হয়। হার্ট সুস্থ থাকে।
নীরব রুমে চিৎকার করা
নীরব রুমে একা একা জোরে গান গাওয়া। চিৎকার করা। বক্তব্য দেওয়া। খবর পাঠ করা। ইত্যাদি কাজ করলে মন হালকা হয়। মানসিক চাপমুক্ত থাকা যায়। হার্টকে সুস্থ রাখা যায়।
প্রার্থনা করা
আমাদের শরীর মহান স্রষ্টার নির্দেশেই পরিচালিত হয়। এজন্য তার কাছে সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করা। তিনি প্রার্থনা কবুল করলে ভালো থাকবে হার্ট। ভালো থাকবে শরীর।
তথ্যসূত্র: (লেখায় ইংরেজি কনটেন্টের বাংলা সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়েছে)
ছবি- ফ্রিপিক
https://www.wionews.com/trending/world-heart-day-2022-theme-history-and-everything-you-need-to-know-520681
Home
https://health.gov/myhealthfinder/health-conditions/heart-health/keep-your-heart-healthy
https://www.webmd.com/heart-disease/ss/slideshow-foods-to-save-your-heart
পাঠকরা যা বলছেন
"আমি শুধু বলতে চাই আপনার নিবন্ধগুলির জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ! আমার প্রবলেম ছিল, এখানে প্রাপ্ত সমস্ত তথ্য অত্যন্ত সাহায্য করেছে। আপনি আমাকে আশা এবং দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।"
"আমাদের মেইলিং তালিকায় সদস্যতা নিতে পৃষ্ঠার নীচে আপনার ইমেল ঠিকানা লিখতে ভুলবেন না, যাতে আপনি সর্বশেষ বিষয়বস্তু, নতুন পণ্য এবং লেটেষ্ট ব্লগ এর নোটিফিকেশন দ্রুত পেতে পারেন ।"
লিখাটি নিয়ে আপনার অভিমত কি?