আপনি কি তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন? এই লেখাটি জুড়ে থাকছে তৈলাক্ত ত্বকের (Oily skin) এর যত্নে বিভিন্ন কার্যকরী স্কিন কেয়ার টিপস। আশা করি এখানেই আপনার সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন।
আমাদের প্রত্যেকেরই উচিৎ ত্বকের ধরন অনুযায়ী নিজেদের ত্বকের যত্ন নেয়া। বিশেষ করে যাদের তৈলাক্ত ত্বক (Oily Skin) তাদের উচিৎ নিজেদের ত্বকের প্রতি আরও বেশি যত্নশীল হওয়া। কারণ তৈলাক্ত ত্বকে ধুলা-বালি জমে ফুসকুড়ি, ব্রণ, ইত্যাদি জাতীয় ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। এছাড়া ত্বকের তেল চিটচিটে ভাব সকলের জন্যই খুবই বিরক্তিকর।
অনেকেই চেষ্টা করছেন কিভাবে তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অনেকে হয়তো বিভিন্ন ঘরোয়া বা টোটকা চিকিৎসাও নিয়েছেন কিন্তু তারপরেও ফল পাচ্ছেন না। আপনি যদি এদের মধ্যে একজন হন তবে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এখানে আমরা তৈলাক্ত ত্বক, তৈলাক্ত ত্বকের কারণ, উপসর্গ, ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো এবং পাশাপাশি তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে কিছু কার্যকরী দৈনিক স্কিন কেয়ার টিপস (Skin care tips for Oily skin) আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করি এই টিপস গুলো আপনার তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা অনেকাংশেই সমাধান এনে দিবে।
তৈলাক্ত ত্বকের কারণ ও উপসর্গ
প্রাকৃতিক ভাবেই ত্বকের প্রয়োজনেই আমাদের ত্বকে তেল উৎপন্ন হয়। এই তেল আমাদের ত্বকের সুস্বাস্থ্য ও তারুণ্য বজায় রাখে এবং ত্বককে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে। চাইলেও ত্বকের এই তেল, উৎপাদন বন্ধ করা সম্ভব না এবং এই উৎপাদন যদি স্বাভাবিক হয় তবে সেটার দরকারও পড়েনা। কিন্তু এখানে সমস্যা হচ্ছে অনেকের এই তেলের উৎপাদন খুব বেশি পরিমানে হয়। তাই, এখানে আমাদের করনীয় হচ্ছে ত্বকে তেলের ভারসাম্য ঠিক রাখা। যাহোক, ত্বকের এই তেল অতিরিক্ত পরিমানে উৎপন্ন হওয়ার বেশ কিছু কারণ আছে। কারণগুলো নিম্নরুপঃ
জিনগত সমস্যা
জিনগত বা বংশগত কারনেও অনেকের এই তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা থাকতে পারে। অর্থাৎ আপনার বাবা বা মায়ের কারোর এই তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা থাকলে আপনারও এই সমস্যা হতে পারে।
বয়স
আমাদের ত্বকের নিচে সিবেসিয়াস (Sebaceous glands) নামক একটি গ্রন্থি থাকে যেখান থেকে সেবাম (Sebum) নামক একটি তৈলাক্ত পদার্থ উৎপন্ন হয়। এই সেবামকেই আমরা মূলত আমাদের ত্বকের তেল বলে থাকি। সেবাম (Sebum) এর উৎপাদন বয়সের সাথে সাথে কমে যায়। বয়ঃসন্ধিকালে এর উৎপাদন সবথেকে বেশি থাকে। ত্বকের বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বক বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন যেমন, কোলাজেন (Collagen) হারাতে থাকে। এই প্রোটিনের কমতিতে সিবেসিয়াস গ্রন্থির কার্যক্রম মন্থর হয়ে পড়ে। অর্থাৎ বয়সের কারণেও ত্বকের তৈলাক্ততা বাড়তে পারে।
হরমোন জাতীয় সমস্যাঃ
বয়ঃসন্ধিকালে আমাদের ত্বকে অ্যান্ড্রোজেন (Androgen) নামক হরমোন নিঃসরণ হয়। এই হরমোন সিবেসিয়াস গ্রন্থিকে উত্তেজিত করে তলে যার ফলে অতিরিক্ত সেবাম উৎপন্ন হয়। এছাড়াও গর্ভাবস্থা ও মোনোপজ (Menopause) এর সময়ও সেবাম অতিরিক্ত পরিমানে উৎপন্ন হয় যার কারণেও মুখ অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়। পাশাপাশি, অনেক সময় জন্মবিরতিকরন পিল ব্যবহারের কারণেও সেবামের উৎপাদন বেড়ে যায়।
মানসিক চাপ (Stress)
মানসিক চাপ এর কারনে আমাদের দেহের রক্তপ্রবাহে কিছু স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ হয়। এই স্ট্রেস হরমোনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হরমোন হচ্ছে কর্টিকোট্রপিক (Corticotropin) যা সিবেসিয়াস গ্রন্থির কার্যক্রম বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এর ফলেও অনেক সময় সেবামের অর্থাৎ ত্বকের তেল এর উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
বর্ধিত লোমকূপ
মাঝে মাঝে বয়সের কারনে অথবা ওজন বৃদ্ধির কারনে আমাদের লোমকূপের আকার বৃদ্ধি পেতে পারে। আকারে বড় লোম কূপ থেকে সাধারনত বেশি তেল উৎপন্ন হয়। অর্থাৎ কিছু ক্ষেত্রে লোম কূপের আকার বৃদ্ধির কারণেও আমাদের মুখের ত্বকে অতিরিক্ত পরিমানে তেল উৎপন্ন হতে পারে।
আদ্রতা
আদ্রতা আমাদের দেহে ঘাম এবং তেল এর উৎপাদন বৃদ্ধি করে থাকে। যারা সাধারনত আদ্র পরিবেশে থাকে তাদের ত্বক তৈলাক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। তাই, আদ্রতাও তৈলাক্ত ত্বকের অন্যতম একটি কারণ।
অতিরিক্ত স্কিন কেয়ার
অতিরিক্ত ত্বকের যত্ন ত্বকের জন্য খারাপ ফলাফল বয়ে আনতে পারে। অনেকে খুব ঘনঘন মুখ ধুয়ে থাকেন। এই অতিরিক্ত ধোয়ার ফলে ত্বক তেল শুন্য হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে সিবেসিয়াস গ্রন্থি তখন ত্বককে বাঁচাতে অতিরিক্ত তেল উৎপাদন করা শুরু করে দেয়। তাই, অতিরিক্ত মুখ ধোয়াও অনেক সময় তৈলাক্ত ত্বকের কারণ হতে পারে।
খাবার
ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ২ ও ভিটামিন বি ৫ এর অভাবে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায়। পাশাপাশি অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার, সফট-ড্রিঙ্কস, চকলেট, ইত্যাদির কারণেও ত্বকের তৈলাক্ত ভাব বৃদ্ধি পায়।
প্রসাধনী
নকল ও তেলযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করার কারণেও অনেক সময় ত্বক তৈলাক্ত হতে পারে। আপনার ত্বকের সাথে খাপ খাচ্ছেনা এমন কোনো কসমেটিক সামগ্রী ব্যবহারের ফলেও এধরণের সমস্যা হতে পারে।
অন্যান্য
উপরিউক্ত কারণ ব্যতীত আরও অনেক কারণ আছে যার কারণে ত্বক তৈলাক্ত হতে পারে। যেমন, কোনো ওষুধ ব্যবহারের পরে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে, অতিরিক্ত গরম আবহাওয়াতে থাকলে, ধুমপান করলে, ইত্যাদি।
এই ছিলো মূলত ত্বক তৈলাক্ত হওয়ার কারণ সমূহ। চলুন এখন দেখে আসি তৈলাক্ত ত্বকের উপসর্গ গুলো কি কিঃ
- নাক, কপাল, থুতনিসহ মুখের বিভিন্ন অংশে পিচ্ছিল, এবং চকচকে একটা ভাব আসে।
- মুখের লোমকূপ গুলো আকারে বড় হয়ে যায়।
- স্বাভাবিকের চেয়ে ত্বক মোটা হয়ে যায়।
- অতিরিক্ত ব্ল্যাক হেডস, হোয়াইট হেডস এবং বিভিন্ন ধরনের গুটি ওঠে মুখে।
- চুল তৈলাক্ত হয়ে থাকে।
- মুখ অধিকাংশ সময় তেলতেলে থাকে এমনকি ধোয়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই আবার তেলতেলে হয়ে যায়।
- নাকের দুইপাশে সাদা চামড়া দেখা যায়, ইত্যাদি।
এগুলোই তৈলাক্ত ত্বক (Oily Skin) এর সম্ভাব্য উপসর্গ। আপনার ত্বকে মোটামুটি এই উপসর্গ গুলো দেখতে পেলেই দ্রুত ত্বকের যত্ন নেয়া শুরু করুন।
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে দৈনিক স্কিন কেয়ার টিপস (Skin care tips for Oily Skin)
আপনি চাইলে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন অনেক উপায়েই নিতে পারবেন। এর মধ্যে কিছু আছে অধিক কার্যকরী। এখানে আমরা আপনাদের সাথে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মোতাবেক কিছু স্কিন কেয়ার টিপস শেয়ার করছি যেগুলো আপনারা তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে দৈনন্দিন ব্যবহার করতে পারেন।
মুখ ভালোভাবে ধোয়া এবং পরিষ্কার রাখা
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে প্রথম এবং প্রধান টিপস হলো মুখ নিয়মিত ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করা। এক্ষেত্রে অর্গানিক ও ন্যাচারাল ক্লিনজার ব্যবহার করা যেতে পারে সেক্ষেত্রে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে সেটি কেবল মুখের জন্যই তৈরি এবং সম্পূর্ণ তেল, মোম এবং লিপিড মুক্ত।
মুখ ধুতে হবে দিনে সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন বার। কোনো ভাবেই এর থেকে বেশি নয় , কারণ আপনারা ইতোমধ্যেই জানেন অতিরিক্ত মুখ ধুলে সেটা আবার তৈলাক্ত ত্বকের কারণ হতে পারে। এছাড়াও মুখ ধোয়ার ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন, মুখের স্কিনে অতিরিক্ত ঘষাঘষি করা যাবেনা । এক্ষেত্রে হালকা ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। আর মুখ ধোয়ার ক্ষেত্রে চেষ্টা করবেন হালকা কুসুম গরম পানির ব্যবহার ।
টোনার ব্যবহার করা
নিয়মমাফিক মুখ ধোয়ার পরে নিয়মিত ন্যাচারাল ও অর্গানিক উপাদান দিয়ে তৈরী টোনার ব্যবহার করবেন। টোনার ব্যবহার তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সত্যিকার অর্থে খুবই উপকারী। টোনার ত্বকের কোষগুলোকে সংকুচিত করে যার মাধ্যমে ত্বকের লোমকূপ গুলোও সংকুচিত হয়ে যায়। এর ফলে সেবাম (Sebum) বা তেল গ্রন্থি থেকে কম বের হয়। টোনার ত্বককে শুষ্ক রাখে এবং ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমায়।
ফেসপ্যাক ব্যবহার করা
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে ন্যাচারাল ও অর্গানিক উপাদান দিয়ে তৈরী ফেসপ্যাক ব্যবহারও কার্যকরী একটি পদ্ধতি। ন্যাচারাল ক্লে মাস্ক, চারকোল পিল মাস্ক অন্যতম। এছাড়াও ঘরোয়া বিভিন্ন পদ্ধতিও আছে যেগুলো অনেক কার্যকর। যেমন, ২-৩ চা চামচ মধু দুই আঙ্গুলের মাথায় নিয়ে মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিয়ে পরে ২০-৩০ মিনিট রেখে ভালোভাবে ধুয়ে ফেললে বেশ কাজে দেয় তৈলাক্ত ত্বকের জন্য। এছাড়া, লেবুর রস ও গোলাপ জলের প্যাক, এবং এক চা-চামচ বেসন, টক দই ও হলুদের গুড়ার প্যাক ব্যবহারেও উপকার পাওয়া যায়।
ব্লটিং পেপার ব্যবহার করা
ব্লটিং পেপারও বেশ ভালো কাজে দেয় তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে। এক্ষেত্রে আপনার ত্বক যদি অতিরিক্ত তৈলাক্ত থাকে, আপনি সবসময় কিছু ব্লটিং পেপার নিজের কাছে রাখতে পারেন কারণ এটি তাৎক্ষনিক ভাবে খুব অল্প সময়ে আপনাকে মুখের অতিরিক্ত তেল সুষে নিয়ে এর থেকে রক্ষা করে। ব্যবহারবিধিও খুবই সহজ। একটি পেপার নিয়ে মুখের যে অংশে তেল, সে অংশে পেপারটা চাপ দিয়ে ধরতে হবে আলতো করে। এই পেপারের মূল বিশেষত্ব হচ্ছে এটি খুব দ্রুত তেল শোষণ করে নিতে পারে। আলতো করে পেপারটা চেপে ধরার ফলে এটি মুখে লেগে থাকা সব তেল খুব দ্রুতই শুষে নিবে যার মাধ্যমে আপনি তাৎক্ষনিক মুখের তৈলাক্ত ভাব থেকে মুক্তি পাবেন।
ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা
ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা কিছু ক্ষেত্রে আপনাকে তৈলাক্ত ত্বক হতে মুক্তি দিতে পারে। যখন আপনার স্কিন শুষ্ক থাকে তখন দেহ চেষ্টা করে তেল উৎপাদন করার যাতে করে ত্বকের শুষ্কতা কম হয়। এর ফলেও আপনার ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হতে পারে। ময়শ্চারাইজার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব এবং শুষ্কতার ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে। তাই তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে নিয়মিত ময়শ্চারাইজার ব্যবহার বেশ কাজে দেয়।
সুষম খাবার গ্রহন ও পর্যাপ্ত পানি পান করা
আপনারা জানেন যে, ভিটামিন এ, বি ইত্যাদির অভাবে ত্বকের তৈলাক্ততা বেড়ে যায়। তাই, ত্বক ঠিক রাখার জন্য হলেও আমাদের সকলের উচিত সুষম, পুষ্টিকর ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। বিভিন্ন ধরনের অর্গানিক শাক-সবজি, আঁশ জাতীয় খাবার, বাদাম, শিম, ইত্যাদি ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। সাথে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে নিয়মিত। পানি ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে বেশ কার্যকর ভুমিকা রাখে।
গ্রীনটি
আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না যে, গ্রীন টি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। তাই, তৈলাক্ত ত্বকের স্কিন কেয়ার (Skin care for oily skin) হিসাবে গ্রীন টিও ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য প্রথমে স্বাভাবিক নিয়মেই আপনাকে গ্রীন টি বানিয়ে নিতে হবে। এরপরে তৈরিকৃত চা ঠাণ্ডা করে একটি স্প্রে বোতলে ভোরতে হবে। এবার এই স্প্রে বোতলের সাহায্যে আপনি সহজেই আপনার মুখে স্প্রের মাধ্যমে গ্রীন টি লাগাতে পারবেন। মুখে ভালোভাবে লাগানোর পরে ২০ মিনিটি অপেক্ষা করতে হবে। এরপরে ঠাণ্ডা পানির সাহায্যে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন মুখের তৈলাক্ত ভাব সম্পূর্ণ রুপে চলে গেছে।
সতর্কতার সহিত কসমেটিক সামগ্রী ব্যবহার এবং ধুমপান ত্যাগ করুন
সবসময় কেমিক্যালমুক্ত ন্যাচারাল ও অর্গানিক উপাদান দিয়ে তৈরী কসমেটিক ও প্রসাধনী ব্যাবহার করুন । বর্তমানে বাজার এখন নকল ও কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী সামগ্রীতে ছেয়ে আছে। এজন্য যে কোনো কসমেটিক সামগ্রী খুব সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। অনেকে প্রতারণায় পড়ে এসব নকল পন্য ব্যবহার করে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন, ব্রণ, গুটি, তৈলাক্ততা ইত্যাদিতে ভুগছেন। এর পাশাপাশি আপনি যদি ধূমপান করেন, তা যতদ্রুত সম্ভব ত্যাগ করুন। ধূমপান ত্বকের তৈলাক্ততার অন্যতম একটি কারণ।
তো এই ছিলো মূলত তৈলাক্ত ত্বক (Oily Skin) এর কারণ, উপসর্গ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা এবং তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে কিছু কার্যকরী স্কিন কেয়ার টিপস (Skin care tips for Oily skin)। আসলে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেয়া সত্যিই কষ্ট সাধ্য একটি বিষয়। যারা এই সমস্যায় ভুগছেন তারা অবশ্যই একমত হবেন এর সাথে। তবে আপনারা যদি এই লেখাটিতে প্রদত্ত টিপস গুলো গুরুত্ব সহকারে অনুসরন করেন, তাহলে অবশ্যই উপকৃত হবেন। এগুলো ব্যবহারে আপনার ত্বক আস্তে আস্তে সুন্দর ও লাবণ্যময় হবে। তো দেরি না করে জলদি আপনাদের ত্বকের যত্ন শুরু করে দিন এবং সুস্থ সুন্দর ত্বক নিয়ে সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল থাকুন।
Visit: www.linnet.com.bd
তথ্যসূত্র : (লেখায় ইংরেজি কনটেন্টের বাংলা সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়েছে)
ছবি– ফ্রিপিক
আরো দেখুন: ত্বক নিরাময়ে এক্সফোলিয়েটিং কেন জরুরী?
- https://en.wikipedia.org/wiki/Sebaceous_gland
- https://en.wikipedia.org/wiki/Collagen
- https://www.verywellhealth.com/oily-skin-5095863
- https://www.verywellhealth.com/oily-skin-5095863
পাঠকরা যা বলছেন
“আমি শুধু বলতে চাই আপনার নিবন্ধগুলির জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ! আমার প্রবলেম ছিল, এখানে প্রাপ্ত সমস্ত তথ্য অত্যন্ত সাহায্য করেছে। আপনি আমাকে আশা এবং দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।”
জিনিয়া পারভীন
দাবিত্যাগ : আমি একজন মেডিকেল পেশাদার নই। আমার মন্তব্য, পরামর্শ, এবং প্রতিফলন চিকিৎসা পরামর্শের জায়গায় নেওয়ার উদ্দেশ্যে নয়। কোন খাদ্য বা জীবনধারা পরিবর্তন করার আগে সর্বদা একজন পেশাদার চিকিৎসকের পরামর্শ ও সাহায্য নিন।
“আমাদের মেইলিং তালিকায় সদস্যতা নিতে পৃষ্ঠার নীচে আপনার ইমেল ঠিকানা লিখতে ভুলবেন না, যাতে আপনি সর্বশেষ বিষয়বস্তু, নতুন পণ্য এবং লেটেষ্ট ব্লগ এর নোটিফিকেশন দ্রুত পেতে পারেন ।”
লিখাটি নিয়ে আপনার অভিমত কি?