006 5 linnet

রাস্তায় হাঁটছে তানভীর ও তন্ময়। দুঃখভরা মনে তন্ময় তানভীরকে বলল, দোস্ত, বউয়ের সাথে খুব খারাপ সময় কাটছে আমার। বাসায় একদমই ভালো লাগে না। কী যে করি! তানভীর বলল, তোদের মাঝে কী সমস্যা হচ্ছে? তন্ময়- আর বলিস না দোস্ত, সে আমার পরিবারের সবাইকে তাচ্ছিল্য করে। প্রাইভেট চাকুরী করি, দেরী করে বাসায় ফিরতে হয়। কেন দেরী করে বাসায় ফিরি; এ নিয়ে তার সন্দেহ। আরও কত সমস্যা; ভালো লাগে না আর! তানভীর, আমাদের একজন ভাই ‘একটি সুস্থ সম্পর্কের জন্য পরামর্শ’ শিরোনামে কনটেন্ট লিখেছেন, পড়ে দেখতে পারিস। ভাবীকেও পড়ার জন্য বলতে পারিস।

তন্ময় ও তার বউ পড়ছে-

সুস্থ সম্পর্ক গড়ার জন্য পরামর্শ

004 5 linnet

যে সম্পর্কে বিশ্বাস, সম্মান, সততা ও পারস্পরিক সহযোগিতা থাকে এবং সন্দেহ, তাচ্ছিল্য ও দূরত্ব থাকে না, সে সম্পর্ককে সুস্থ সম্পর্ক বলে।

পারস্পরিক বিশ্বাস এবং ইতিবাচক মনোভাব

সন্দেহ খুব খারাপ বিষয়। সন্দেহ করতে থাকলে সুন্দর সম্পর্ক নষ্ট হয়। মনোমালিন্য হয়। বুখারির ৬০৬৬ নাম্বার হাদিসে বলা হয়েছে, ‘তোমরা অনুমান থেকে বিরত থাকো। কারণ অনুমান বড় মিথ্যার ব্যাপার’। এজন্য আপন মানুষদের সম্পর্কে এ মনোভাব রাখা, সে ভালো। তার মাঝে এসব ভালো গুণ আছে, যা আমার মধ্যে নেই। কখনো কোনো অন্যায় দেখলে, শুধরিয়ে দেওয়া। কোনো আচরণ বা কাজ খারাপ লাগলে, মাফ করে দেওয়া। একে অপর সম্পর্কে এরকম ইতিবাচক মনোভাব থাকলে, সম্পর্ক হয় মধুর। অন্যথায় প্রিয় ঘৃণিত এবং বন্ধু শত্রু হয়ে যায়।

সত্য বলা

আমরা জানি, এক ছেলে প্রতিদিন বলত, বাঘ এসেছে, বাঘ এসেছে। মানুষও প্রতিদিন তাকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে যেত। একসময় তার ওপর মানুষের অবিশ্বাস তৈরি হল। তখন ঠিকই বাঘ এলো। সেও বাঘ বাঘ বলে চিৎকার করলো। কিন্তু এগিয়ে এলো না কেউ।

এজন্য আপন-পর সবার সাথে সবসময় সত্য বলা। আরবি প্রবাদ আছে, সত্য সফলতা বয়ে আনে, মিথ্যা ধ্বংস করে। মিথ্যা বলার দ্বারা নিজেদের মধ্যে সন্দেহ, অবিশ্বাস ও নানান সমস্যা তৈরি হয়। অন্যায় করেও সত্য বললে, অস্থায়ী বিরক্তি আসে; কিন্তু স্থায়ী বিশ্বাস তৈরি হয়।

002 4 linnet

হাসিমুখে থাকা

গুমোট মুখের মানুষকে দেখতে ভালো লাগে না। ভয় লাগে। নানান নেতিবাচক চিন্তা মাথায় আসে,

  • তিনি মনে হয় রাগ করেছেন
  • তিনি অহঙ্কারী
  • তিনি অসামাজিক

আপন মানুষদের সাথে গুমোট মুখে থাকলে বিরক্তির সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে হাসিমুখে থাকলে পারস্পরিক ভালোবাসা বাড়ে।

একটা ঘটনা মনে পড়লো, ভারতের মুম্বাইয়ে একজন চটপটি বিক্রেতা কাস্টমারদের সাথে হাসিখুশি আচরণ করতেন। তার এই স্বভাবের কারণে কাস্টমার প্রতিদিন বেড়েই চলতে শুরু করলো। তিনি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হয়ে গেলেন। অনেক টাকার মালিক হলেন। এরপর তার রূপ পাল্টে গেলো- কাস্টমারদের সাথে রূঢ আচরণ করতে শুরু করলেন। প্রায় দিনই কাস্টমারদের সাথে তার তর্কবিতর্ক হতে থাকলো। ধীরে ধীরে কাস্টমারের আনাগোনা কমে গেলো। ব্যবসায় ধ্বস নামলো।

উপহার দেওয়া

উপহার দিলে ভালোবাসা বাড়ে। সময়সুযোগ বুঝে আপন মানুষদের উপহার দেওয়া। উপহার খুব দামী হতে হবে, এমনটা চিন্তা করা ঠিক নয়। তবে উপহারের জিনিস নষ্ট ও পুরোনো যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা। উপহার দেওয়ার আগে প্রিয় মানুষের পছন্দ জেনে নেওয়ার চেষ্টা করা।

মনে রাখতে হবে, উপহার তো উপহারই। তাই উপহার পেয়ে আন্তরিকতার সাথে তা গ্রহণ করা। উপহার গ্রহণে অনীহা দেখালে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। উপহার পছন্দ না হলেও তা গ্রহণে সৌজন্যবোধ রক্ষা করা।

আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়া

আজকাল ট্র্যাফিক জ্যাম এবং সময় স্বল্পতার কারণে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠে না। তাই কোনো উপলক্ষে আমন্ত্রণ পেলে তাতে অংশগ্রহণ করা। এতে দীর্ঘদিন ধরে দেখা হয় না এমন মানুষগুলোর সাথে দেখা হয়ে যায়। সুখদুঃখের কথাবার্তা হয়। পরস্পর সম্পর্কে জানার সুযোগ হয়। পারস্পরিক সম্পর্কে উন্নতির নতুন জোয়ার আসে। নিজেদের মধ্যে পুনরায় কথাবার্তা আদান প্রদান শুরু হয়। বাসায় যাতায়াত হয়। এভাবে ঝিমিয়ে পড়া সম্পর্ক তাজা হয়ে ওঠে।

নিজের কোনো উপলক্ষ তৈরি হলে আপনজনদের আমন্ত্রণ করা। আমন্ত্রণ দেওয়ায় বৈষম্য না করা। আপন সবসময় আপন। আত্মীয় সবসময় আত্মীয়। বন্ধু সবসময় বন্ধু। সামাজিক বা অর্থনৈতিক উন্নতি যেন আপনকে পর না করে; এ মানসিকতা নিয়েই আমন্ত্রণ জানানো।

003 5 linnet

সম্মান ও স্নেহ বজায় রাখা

তিরমিযির ১৯২৫ নাম্বারে হাদিসে আছে, ‘যে বড়কে সম্মান এবং ছোটকে স্নেহ করে না, সে আমার উম্মত নয়’। আজকাল সম্মান ও স্নেহ দুটোই কমে গেছে। বর্তমানে মানুষকে সম্মান করা হয় অর্থ ও ক্ষমতা দেখে। স্নেহ করা হয় সম্পদ ও প্রতাপশালীর অনুজ দেখে। অথচ সম্মান করা উচিৎ ছিলো বয়স ও জ্ঞানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বড়দের। স্নেহ করা দরকার ছিলো যে কোনো ক্ষেত্রে ছোটদের। বর্তমানে বড় কিছুটা সম্মান পেলেও, ছোট অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাচ্ছিল্য ও নির্যাতনের শিকার হয়। বিশেষ করে চাকুরীর জগতে ছোটদের সাথে বেশি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়। এজন্য অধিকাংশ অফিসে জুনিয়র সিনিয়র রেষারেষি থাকে। অফিস পলিটিক্স হয়। সহকর্মীদের সাথে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে না।আশা করবো, এই কনটেন্টের পাঠক যথাযথ ব্যক্তিকে সম্মান ও স্নেহ করবেন। ভালোবাসা দিয়ে সবার মন জয় করবেন।

সহনশীল হওয়া

একদিন বারিধারা যাওয়ার জন্য বাসে উঠলাম। দাড়িয়ে থাকা একজন যাত্রীর সঙ্গে আরেকজন যাত্রীর সামান্য ধাক্কা লাগলো। কেন ধাক্কা লাগলো, এজন্য মুহূর্তেই রক্তপাত ঘটলো। দুজনকেই হাসপাতালে নিতে হলো। কতটুকু অসহিষ্ণু হলে এরকম ঘটনা ঘটে; কল্পনা করা যায়!

পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সহনশীল হওয়ার বিকল্প নেই। সবসময় নিজের দোষগুলো দেখলে সহজে মাথা গরম হয় না। অন্যকে নিজের চেয়ে বড় মনে করলে সহজে মনে আঘাত লাগে না। একদিন আমি মরে যাবো, এ চিন্তা করতে থাকলে; কাউকে গালি দেওয়া বা কারো গায়ে হাত তোলা কঠিন হয়ে যায়। বিনয়ী হয়ে এবং ত্যাগ স্বীকার করার মানসিকতা নিয়ে চললে, বিশৃঙ্খলামুক্ত ও শান্তিময় জীবনযাপন করা যায়।

বাসে উঠলেই দেখা যায়, চালক ও তার সহকারীর সাথে কত খারাপ আচরণ করছে যাত্রীরা। প্রতিদিন যাত্রীদের খারাপ আচরণ সহ্য করে নিজ পেশায় ব্যস্ত থাকছে তারা। এটাই হচ্ছে ধৈর্য। একটি সুস্থ সম্পর্কের জন্য, আমাদের এরচেয়েও বেশি ধৈর্য্যশীল হতে হবে। প্রিয় মানুষ থেকে অপ্রত্যাশিত আচরণ পাবো, মন খারাপ হবে। কিছুক্ষণ পর সব ভুলে আবার প্রিয় মানুষের কাছে চলে যাবো। অপ্রত্যাশিত আচরণগুলো মনে পুষে রাখলেই তৈরি হয় বড় বড় সমস্যা। নিজেরা আলোচনা করে ভুল শুধরে নিলে, স্থায়ী হয় সুন্দর সম্পর্কগুলো। 

001 4 linnet

মানবিক ও উপকারী হওয়া

সুনামগঞ্জসহ সিলেটের বিভিন্ন স্থানে বন্যা হচ্ছে। বন্যাকবলিত মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে, ১০ টাকার মোমবাতি ৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। নৌকা ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ডুবে যাওয়ার সময় বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছিলো শিশু; কেউ বাঁচাতে যায়নি। এসব আচরণ দুঃখজনক। পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়সহ সবক্ষেত্রেই আমাদের উপকারী ও মানবিক হওয়া প্রয়োজন।

বাসায় মা, বোন ও স্ত্রীকে কাজে সহযোগিতা করা। অফিসে সহকর্মীদের উপকার করা। কেউ কোনো কাজ না পারলে বা বুঝলে, তাকে শেখায় এবং বুঝায় দেওয়া। রাস্তায় কোনো মানুষকে বিপদে দেখলে এগিয়ে যাওয়া। বাসে বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষ দাঁড়িয়ে থাকলে তাকে বসতে দেওয়া।

সবাই যদি মানবিক হয় এবং একে অপরকে উপকার করে। তাহলে অমানবিক ও অপকারী মানুষ পাওয়াই কঠিন হয়ে যাবে!

পরিচ্ছন্ন থাকা এবং উন্নত স্বভাবের হওয়া

‘মুখ থেকে কেন দুর্গন্ধ আসে’ এই একটা বিষয়কে কেন্দ্র করেই স্বামী স্ত্রী এখন আলাদা থাকছেন!বাসা অপরিচ্ছন্ন বা অগোছালো রাখা। শরীর থেকে গন্ধ আসা। ময়লা পরিষ্কার করার জন্য নাকে বা চোখে হাত দেওয়া। অতিমাত্রায় কথা বলা বা চুপ থাকা। খোঁচা মেরে কথা বলা। চেচিয়ে কথা বলা। শুধু নিজের সুবিধা দেখা। অল্পতেই মন খারাপ করা। এরকম যত নেতিবাচক স্বভাব আছে, সবগুলো থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করা। এতে করে সুস্থ সম্পর্কগুলো সুস্থ থাকে। অন্যথায় অসুস্থ হয়ে যায়।

008 3 linnet

মানসিক অবস্থা বা মনোভাব বুঝার চেষ্টা করা

আপন মানুষগুলো কোনো কারণে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হলে কাউন্সিলিং করা। অর্থনৈতিক সমস্যায় থাকলে সহায়তা করা। অস্থিরতায় থাকলে বিরক্ত না করা। অসুস্থ হলে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া। অসুস্থ মানুষকে নিয়ে মশকরা না করা। বরং সুস্থ হওয়ার সুযোগ দেওয়া।স্ত্রী মানসিক বা শারীরিক সমস্যায় থাকলে, চাপ দিয়ে সহবাস না করা। স্বামী সমস্যায় থাকলে, তার কাছে আবদার করা থেকে বিরত থাকা।মনোভাব ও মানসিক অবস্থা বুঝে একে অপরের সাথে চলতে পারলে, সম্পর্ক শক্তিশালী হয়।

বিপদাপদে পাশে থাকা

কথায় আছে, ‘বিপদেই সত্যিকার বন্ধুর পরিচয় পাওয়া যায়’। তাই- প্রিয় কেউ মারা গেলে, তার জানাযা ও দাফনে থাকা। হাসপাতালে থাকলে দেখতে যাওয়া। সামর্থ্য থাকলে বেকারদের চাকরির ব্যবস্থা করা। সম্ভব হলে অভাবী ও ঋণগ্রস্তকে অর্থ দিয়ে সহায়তা করা।দুইবন্ধু ও ভালুকের গল্প আমরা জানি – বিপদে পড়ে একজন অপরজনের হাত ছেড়ে দিয়েছিল। আমাদের অবস্থা যেন এরকম না হয়। আমরা ধরে রাখা হাত ছাড়বো না, অবস্থা যাই হোক।

বেড়াতে ও ভ্রমণে যাওয়া

ছুটির দিনে কিংবা অবসর সময়ে প্রিয় মানুষদের নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাওয়া। দর্শনীয় কোনো স্থান ঘুরে আসা। মাঝে মাঝে দূরে ভ্রমণে যাওয়া। একসাথে নিরিবিলি স্থানে হাটা এবং গল্প করা।

মাথা ঠান্ডা রাখা

পরিস্থিতি যাই হোক, মাথা গরম না করা। কণ্ঠস্বর ও কথাবার্তা নিয়ন্ত্রণে রাখা। চেহারা বিকৃত না করা। কষ্ট হলেও মুখে হাসি রাখা। কথায় নয় কাজে নিজে যোগ্যতা ও শুদ্ধতা প্রমাণের চেষ্টা করা।মনে রাখতে হবে, ‘রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন’।

007 2 linnet

একসাথে খাওয়া, বই পড়া ও মুভি দেখা

প্রতিদিন মা-বাবা, স্ত্রী ও সন্তানদের কিছু হলেও সময় দেওয়া। রাতে বাসায় ফিরে সবার খোঁজ খবর নেওয়া। রাতের খাবার একসাথে খাওয়া। এতে করে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয় না। সবার সাথে সবার আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। চেপে রাখা অনেক কথা বলার সুযোগ পাওয়া যায়।

ভালো কোনো মুভি বা নাটক একসাথে বসে দেখা। যা দেখা হলো, তা থেকে কী শিক্ষা নেওয়া যায় সেসব নিয়ে আলোচনা করা। কোনো বই থেকে গল্প বা শিক্ষণীয় বিষয় একজন পড়ে বাকীদের শোনানো। এতে করে জ্ঞানচর্চার সাথে সাথে সুসম্পর্ক আরও গভীর হয়।

আজকাল তো একই রুমে থাকা সত্তে¡ও সপ্তাহজুড়ে স্বামী-স্ত্রীর সাথে কথা হয় না। সন্তানের সাথে বাবা-মার কথা হয় না। টেবিলে খাবার রেখে দেওয়া হয়; যে যার মতো খেয়ে নেয়। সম্পর্কে এমন অলসতা কাম্য নয়।

005 3 linnet

অর্থোপার্জন করা এবং অল্পতে তুষ্ট থাকা

প্রবাদ আছে, ‘অভাব যখন দরজায় আসে ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়’। এ প্রবাদ সবার জীবনে শতভাগ সত্য না হলেও, এর বাস্তবতা আছে। তাই জীবনে সুখ-শান্তির জন্য কিছু হলেও অর্থ উপার্জন করা।  পুরুষদের অন্তত হাত গুটিয়ে থাকতে নেই। পরিবারের মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয় করতে পারলে নিজের মাথা উঁচু থাকে। যা সত্যিই আনন্দের।

অন্যদিকে অল্পে তুষ্ট থাকার স্বভাব জীবনে সুখ-শান্তি বয়ে আনে। নিজের যতটুকু আছে ততটুকু নিয়ে কৃতজ্ঞ থাকা। অন্যের কী আছে বা কী হচ্ছে সেদিকে মনযোগী হলে, জীবনে অশান্তি ও অস্থিরতা বাড়ে। সম্পর্কে অবনতি ঘটে। একটি সুস্থ সম্পর্কের জন্য তাই অল্পে তুষ্ট থাকার বিকল্প কিছু নেই।

তন্ময় ও তার বউ সুস্থ সম্পর্কের জন্য কী কী করতে হবে, মনযোগ দিয়ে সব পড়লো। নিজেদের জীবনে পরামর্শগুলো বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা শুরু করলো। এখন আর তন্ময় বলে না, বাসায় ভালো লাগে না। কী যে করি!

তথ্যসূত্র: (লেখায় ইংরেজি কনটেন্টের বাংলা সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়েছে)

ছবি- ফ্রিপিক, আনস্পালাস

  1. https://youth.gov/youth-topics/teen-dating-violence/characteristics
পাঠকরা যা বলছেন
A side profile of a woman in a russet-colored turtleneck and white bag. She looks up with her eyes closed.
জিনিয়া পারভীন
"আমি শুধু বলতে চাই আপনার নিবন্ধগুলির জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ! আমার প্রবলেম ছিল, এখানে প্রাপ্ত সমস্ত তথ্য অত্যন্ত সাহায্য করেছে। আপনি আমাকে আশা এবং দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।"
দাবিত্যাগ :আমি একজন মেডিকেল পেশাদার নই। আমার মন্তব্য, পরামর্শ, এবং প্রতিফলন চিকিৎসা পরামর্শের জায়গায় নেওয়ার উদ্দেশ্যে নয়। কোন খাদ্য বা জীবনধারা পরিবর্তন করার আগে সর্বদা একজন পেশাদার চিকিৎসকের পরামর্শ ও সাহায্য নিন।

0011 linnet
"আমাদের মেইলিং তালিকায় সদস্যতা নিতে পৃষ্ঠার নীচে আপনার ইমেল ঠিকানা লিখতে ভুলবেন না, যাতে আপনি সর্বশেষ বিষয়বস্তু, নতুন পণ্য এবং লেটেষ্ট ব্লগ এর নোটিফিকেশন  দ্রুত পেতে পারেন ।"
লিখাটি নিয়ে আপনার অভিমত কি? 
Shop at Linnet
Total
0
Shares

Leave a Reply