শিক্ষককে ডাকি বাদশা কহেন, ”শুনুন জনাব তবে,
পুত্র আমার আপনার কাছে সৌজন্য কি কিছু শিখিয়াছে?
বরং শিখেছে বেয়াদবি আর গুরুজনে অবহেলা,
নহিলে সেদিন দেখিলাম যাহা স্বয়ং সকাল বেলা”
শিক্ষক কন-”জাহপানা, আমি বুঝিতে পারিনি হায়,
কি কথা বলিতে আজিকে আমায় ডেকেছেন নিরালায়?”
বাদশাহ্ কহেন, ”সেদিন প্রভাতে দেখিলাম আমি দাঁড়ায়ে তফাতে
নিজ হাতে যবে চরণ আপনি করেন প্রক্ষালন,
পুত্র আমার জল ঢালি শুধু ভিজাইছে ও চরণ।
নিজ হাতখানি আপনার পায়ে বুলাইয়া সযতনে
ধুয়ে দিল না’ক কেন সে চরণ, স্মরি ব্যথা পাই মনে।”
উচ্ছ্বাস ভরে শিক্ষকে আজি দাঁড়ায়ে সগৌরবে
কুর্ণিশ করি বাদশাহে তবে কহেন উচ্চরবে-
”আজ হতে চির-উন্নত হল শিক্ষাগুরুর শির,
সত্যই তুমি মহান উদার বাদশাহ্ আলমগীর।”

কবিতার লাইনগুলো পড়ে মনে হচ্ছে, আপনি শৈশবে ফিরে গিয়েছেন, তাই না? জি, কিছুক্ষণের জন্য আপনাকে শৈশবে ফিরে নেওয়াই আমার উদ্দেশ্য ছিল। শৈশবে আমরা যে কবিতা পড়েছি, সেখানে ছিল শিক্ষা আর শিক্ষা। শিক্ষককে শ্রদ্ধা করার শিক্ষা। মানুষ হওয়ার শিক্ষা। প্রতিশোধ না নেওয়ার শিক্ষা। স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করার শিক্ষা। বর্তমানে এমন কিছু সংবাদ চোখে পড়ে, যা দেখে মনে হয় এসব শিক্ষা আর অবশিষ্ট নেই আমাদের এ সমাজে। আজকের লেখায় তুলে ধরতে চাই এমন কিছু বিষয়, যা আমাদের জীবনে শিক্ষকের মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতা করবে।

কেন শিক্ষককে সম্মান করব?
শিক্ষককে সম্মান করার জন্য এ বিষয়গুলোই যথেষ্ট যে, তিনি শিক্ষক। তিনি মানুষ গড়ার কারিগর। তিনি আমাদের জ্ঞান দেন এবং বিদ্যা শিখিয়ে বিদ্বান করেন। এরপরেও আরও কিছু বিষয় আছে, যা হয়ত আমরা চিন্তা করি না; সেসব বিষয় নিচে তুলে ধরা হচ্ছে।

শিক্ষক আমাদের যত্ন নেন
বাবা-মা যেরকম আমাদের খাবার-দাবার ও কাপড়চোপড় ইত্যাদি প্রয়োজনীয় বিষয়ে খোঁজখবর নেন। শরীর অসুস্থ হলে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। মন খারাপ হলে বেড়াতে নিয়ে যান। একইভাবে শিক্ষক আমাদের লেখাপড়ার বিষয়ে যত্ন নেন। আমরা কোনো বিষয় না বুঝলে শিক্ষক আমাদের বুঝিয়ে দেন। আমাদের মধ্যে আদব-কায়দা কম দেখলে শিক্ষক তা শিখিয়ে দেন। যেসব বিষয়ে আমরা অজ্ঞ সেসব বিষয়ে জ্ঞান দিয়ে শিক্ষক আমাদের জ্ঞানী বানান।

আমাদের প্রতিষ্ঠিত করেন
বাবা-মা আমাদের পেছনে অর্থ ব্যয় করেন। শিক্ষক আমাদের পেছনে সময় ব্যয় করেন। শিক্ষকের সময় এবং বাবা-মায়ের অর্থ দুটা মিলেই আমরা জিরো থেকে হিরো হয়ে যাই। কেউ চিকিৎসক, কেউ প্রকৌশলী আবার কেউ ব্যরিস্টার হয়ে যাই। এসব টাইটেল নিয়ে আমরা সমাজে মাথা উঁচু করে চলি। মানুষের সম্মান পাই। এই যে আমাদের মাথা উঁচু করে চলা এবং মানুষের সম্মান লাভ করা, সবকিছু শিক্ষক এবং বাবা-মায়ের কল্যাণে হচ্ছে।

শিক্ষক আমাদের মত মানুষ
শিক্ষক ভুল করতেই পারেন। তারাও মানুষ। যদি মার্জিত ভুল করেন, তবে সে ভুল না ধরা। যদি অমার্জিত ভুল করেন এবং অনৈতিক কোনো কাজ করেন, এক্ষেত্রে শিক্ষকের বিচার করার ক্ষমতা শিক্ষার্থীর নেই। বরং শিক্ষার্থীর করণীয় হল, উপযুক্ত এমন কারো কাছে শিক্ষকের ভুলের বিষয়টা তুলে ধরা। যিনি শিক্ষককে সে বিষয়ে বলার বা শুধরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
দুঃখজনক হলেও সত্য, বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষকের বিচার শিক্ষার্থীরা করে থাকে। মাঝে মাঝে শিক্ষকের নামে এমন কারো কাছে নালিশ করে থাকে, যিনি শিক্ষকের বিচার করার ক্ষমতা রাখেন না। ফলে বিচারের নামে শিক্ষককে এমন কোনো শাস্তি দেন, যা গুরুদন্ড হয়ে যায়। শিক্ষকের মাথা নিচু হয়ে যায়।

শিক্ষক নিজের নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারেন
একজন মানুষ যেরকম কখনো হাসে এবং কখনো কাঁদে। কখনো আবার রাগ করে সবকিছু মাথায় তুলে নেয়। মাঝে মাঝে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। শিক্ষকের অবস্থাও একইরকম। তিনিও মাঝে মাঝে নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতে পারেন। শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সমাজের উচিৎ হলো এ বিষয়টা মেনে নেওয়া। শিক্ষককে বুঝিয়ে ঠান্ডা করে দেওয়া। নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যদি বড় কোনো অন্যায় না করে থাকেন, তবে সে বিষয়টা না ধরা।

শিক্ষক আমাদের চেয়ে বয়সে বড়
বয়সে বড় যে কোনো মানুষকে শ্রদ্ধা করতে আমরা বাধ্য। শ্রদ্ধা পাওয়ার ব্যাপারে শিক্ষকের অগ্রাধিকার বেশি। কারণ তিনি একইসাথে বয়সে বড় এবং শিক্ষক।
বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের চেয়ে শিক্ষার্থী বড় হয়ে থাকেন। এক্ষেত্রেও শিক্ষককে অভিভাবক হিসেবে শ্রদ্ধা করতে হবে। মনে মনে শিক্ষক বয়সে বড়, এমন চিন্তা করতে হবে।
শিক্ষকের জ্ঞান বেশি
জ্ঞান বেশি, দক্ষ ও অভিজ্ঞ; এজন্যই শিক্ষক, শিক্ষক হয়েছেন। তার জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে আমাদের সম্মান করতে হবে। শিক্ষক যখন প্রাপ্য সম্মান পাবেন, তখন আন্তরিকতার সঙ্গে মানুষ তৈরিতে নিজেকে মনোনিবেশ করতে পারবেন।

শিক্ষকের মেধা বেশি:
সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীরাই শিক্ষক হয়ে থাকেন। সবসময় এ কথা চিন্তা করতে হবে, আমার যদি শিক্ষকের মত মেধা থাকতো, তাহলে আমি শিক্ষার্থী না থেকে শিক্ষক হয়ে যেতাম। এ কথা চিন্তা করেই শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা নিয়ে আসতে হবে।
বিনয় থেকে শ্রদ্ধা আসে
শিক্ষার্থী সবসময় বিনয়ী হবে। কারণ বিনয় থেকেই শ্রদ্ধা আসে। অহংকার থেকে কখনো শ্রদ্ধা আসে না। অহংকার মানুষকে অমানুষে পরিণত করে। শিক্ষা অর্জনের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে, সত্যিকার মানুষ হওয়া। এজন্য বিনয়ের বিকল্প নেই।

যা করব তাই পাব
প্রতি ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া আছে। আজ যদি আমি বড়কে সম্মান করি, তাহলে আমিও আমার ছোটদের থেকে সম্মান পাব। আমি যদি আমার শিক্ষককে শ্রদ্ধা করি, তাহলে আমি শিক্ষক হলে সম্মান পাব। শিক্ষক না হলেও যে অবস্থানে থাকব, আমার অধীনস্থরা আমাকে শ্রদ্ধা করবে।
বেয়াদবি ব্যর্থতার চাবিকাঠি
শিক্ষকের সাথে রূঢ় আচরণ কখনও কাম্য নয়। বরং শিক্ষকের কঠোরতা এবং অন্যান্য ভুল দেখেও, যে ভদ্র থাকে সে প্রকৃত মানুষ হয়। এমন মানুষ শিক্ষার্থী-ই- জীবনে উন্নতি করে। অন্যদিকে যারা শিক্ষকের সাথে বেয়াদবি করে, তাদের সাময়িক উন্নতি হলেও, ঘুরেফিরে আবার জীবনে ব্যর্থতা নেমে আসে।

শিক্ষকের শ্রমকে সম্মান করা
শিক্ষার্থীদের পড়াতে একজন শিক্ষকের কী পরিমাণ যে কষ্ট হয়, তা একজন শিক্ষকই বুঝেন। শিক্ষার্থীর পক্ষে তা বুঝা সম্ভব নয়। কবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষকের শ্রম খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন মাষ্টারবাবু কবিতায়-
আমি ওরে বলি বার বার,
‘পড়ার সময় তুমি পোড়ো-
তার পরে ছুটি হয়ে গেলে
খেলার সময় খেলা কোরো’।
ভালোমানুষের মতো থাকে,
আড়ে আড়ে চায় মুখপানে,
এম্নি সে ভান করে যেন
যা বলি বুঝেছে তার মানে।
একটু সুযোগ বোঝে যেই
কোথা যায় আর দেখা নেই।
আমি বলি ‘চ ছ জ ঝ ঞ’,
ও কেবল বলে ‘মিয়োঁ মিয়োঁ’।
বর্তমানে যা হচ্ছে এবং যা হওয়া উচিৎ:

শিক্ষকতা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পেশা। শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড এবং শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর। দুঃখের বিষয় হলো, সারা বিশ্বের মানুষদের কাছে আজ মানুষ গড়ার কারিগরদের কোনো মূল্য নেই! শিক্ষকরা আজ বিশ্বের কোথাও নিরাপদ নেই। কোথাও পান না তাদের প্রাপ্য সম্মান। পরিবারে খুন হন শিক্ষক। লাঞ্ছিত হন যেখানে সেখানে। নিরক্ষর কোটিপতির কাছে আমাদের শিক্ষকরা বড় অসহায়। উচিৎ ছিল শিক্ষকের সম্মানে সবাই চেয়ার ছেড়ে দিবে। কিন্তু এখন শিক্ষককে সবার জন্য চেয়ার ছেড়ে দাড়িয়ে থাকতে হয়!
আজ শিক্ষককে সম্মান না করার কারণে শিক্ষিত ও উচ্চ-শিক্ষিত মানুষে দেশ ভরে গেলেও, সুশিক্ষিত মানুষ পাওয়া কঠিন হয়ে গিয়েছে। আমাদের বর্তমান শিক্ষিতদের অধিকাংশ কথায় কথায় গালি দেয়। হুমকি দেয়। খুন করে। দেশের ক্ষতি করে। অসহায়কে আরও বেশি অসহায় বানায়। আচরণ দেখে বুঝার উপায় নেই, কে শিক্ষিত আর কে অশিক্ষিত!

শিক্ষকরা এখন শাসন করতে পারেন না। ছাত্র-ছাত্রীদের শাসন করলেই শিক্ষককে শাস্তি পেতে হয়! তাহলে কিভাবে মানুষ গড়ার কারিগর সত্যিকার মানুষ গড়বেন? কোনো শিক্ষক সাহস করে শাসন করলে, শাসিত আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষককে কারাগারে যেতে হয়!
বহু আগে শিশু-কিশোররা স্বপ্ন দেখত শিক্ষক হবে। এখন তারা ভিন্ন স্বপ্ন দেখে। কে কোন পেশা বেছে নিবে, তা যার যার একান্ত বিষয়। সবাই শিক্ষক হলে দেশের বা বিশ্বের অন্য সেক্টরগুলো চলবে না। কিন্তু এখানে তুলে ধরার বিষয় হলো, যারা শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখতো, আজ তারা সেই স্বপ্ন দেখে না কেন? কেন আজ শিক্ষক হওয়ার স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটল? এ বিষয়টি আমাদের ভাবতে হবে।

ছোট শিশুদের যারা শিক্ষা দেন, তাদের কষ্ট ও পরিশ্রম সবচেয়ে বেশি হয়। অথচ এসব শিক্ষক নিজেদের প্রাপ্য সম্মান ও সুবিধা কিছুই পান না। প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকদের সবচেয়ে বেশি অবহেলা করা হয়, যা অনুচিৎ। যারা একজন মানুষের ফাউন্ডেশন তৈরি করে দিচ্ছেন, তাদের ব্যাপারে সবার মনযোগী হওয়া উচিৎ। অন্যথায় ফাউন্ডেশন নড়বড়ে হলে মানুষও নড়বড়ে হবে। এমন নড়বড়ে মানুষ দিয়ে শৃঙ্খল রাষ্ট্র ও সমাজ গড়া সম্ভব হবে না।
স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের বেতন এখন ১০ হাজার থেকে ১৬ হাজার টাকা। বর্তমানে এই অর্থ দিয়ে না নিজে চলা যায় এবং না পরিবার চালানো যায়। আমাদের শিক্ষকদের আমরাই পিছুটানে রেখেছি। শিক্ষকদের পিছুটানে রাখলে, আমরাও পিছিয়ে থাকব। শিক্ষকদের সামনে এগিয়ে রাখলে, তারা আমাদের এমনভাবে শিক্ষিত করবেন যে, আমরাও সামনে এগিয়ে যাব।

সময় এসেছে, শিক্ষকদের নিয়ে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। কথায় আছে, ‘Old is Gold’। এজন্য আমাদের বাদশাহ আলমগীরের যুগে ফিরে যেতে হবে। শিক্ষককে যৌক্তিক শাসন করার অধিকার আমাদেরই দিতে হবে। শিক্ষকের জীবনমান যেন উন্নত হয়, তাদের যেন কোন পিছুটান না থাকে, সে ব্যবস্থা আমাদেরই করতে হবে। আমরা যদি শিক্ষকদের প্রাপ্য সম্মান ও সুবিধা দিতে পারি; তবে শিক্ষকরাও আমাদের সত্যিকার মানুষ উপহার দিতে পারবেন। সুশিক্ষিত মানুষ গড়তে পারবেন। বন্ধ করতে পারবেন খুন, হানাহানি, দুর্নীতি ও লুটপাট।

পালিত হল শিক্ষক দিবস
পাঁচ অক্টোবর পালিত হল ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’। ১৯৯৫ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৫ অক্টোবর ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ পালিত হয়ে আসছে। ইউনেস্কোর মতে, শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করেই এ দিবস পালন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘শিক্ষকদের দিয়েই শিক্ষার রূপান্তর শুরু।’
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’। এ দিবস উপলক্ষ্যে নানান সংগঠন নানান কর্মসূচি আয়োজন করেছিল। কোনো এক জাতীয় দৈনিক আয়োজন করেছিল ‘স্যার কোথায়?’ আর্টিকেল লেখার। সেখানে অনেক মানুষ তাদের স্যারকে নিয়ে মনের কথা লিখেছিলেন। কারো লেখা ভাবিয়েছে, কারো লেখা কাঁদিয়েছে এবং কারো লেখা শিক্ষা দিয়েছে।

দিবস পালন করে যদি কিছু শিক্ষা নেওয়া যায়, তাহলে সে দিবস পালন অর্থবহ হয়। দিবস পালন করে যদি কোনো শিক্ষাই অর্জিত না হয়, তাহলে সে দিবস পালন অনর্থক।
এবার আসি এবারের প্রতিপাদ্য নিয়ে- ‘শিক্ষকদের দিয়েই শিক্ষার রূপান্তর শুরু।’ শিক্ষকদের দিয়ে শিক্ষার রূপান্তর তখনই শুরু হবে, যখন শিক্ষকরা শিক্ষার রূপান্তর করার মত চিন্তা করার সময় ও সুযোগ পাবেন। একজন মানুষের মাথা তখনই ঠান্ডা থাকে, যখন তার জীবন পরিচালনা করতে সমস্যা হয় না। শিক্ষকদের জীবন পরিচালনা করতে যেন সমস্যা না হয়, শিক্ষক দিবস পালন শেষে সে বিষয়টিতে এখন সবার নজর দেওয়া উচিৎ।

মানুষ গড়ার কারিগর সব পর্যায়ের শিক্ষকদের বেতন দেওয়ার পাশাপাশি, রেশন, চিকিৎসাভাতা, উৎসবভাতা, বাসাভাড়া, গাড়ির সুবিধা ইত্যাদি দেওয়া উচিৎ। যদি শিক্ষকরা সবরকমের সুযোগ-সুবিধা পান, তাহলে তাদের অর্থের জন্য বিকল্প চিন্তা করতে হবে না। তাদের মানসিক অস্থিরতা থাকবে না। শিক্ষার রূপান্তরে তারা মনোযোগ দিতে পারবেন। এতে করে শিক্ষার মান উন্নত হবে। শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতা কমবে। সুশিক্ষিত মানুষ স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হবে।
শিক্ষক দিবস পালন হোক প্রতিবছর। শিক্ষকদের সম্মান বজায় থাকুক প্রতিদিন। শিক্ষকদের শাসনে দূর হোক সকল অন্যায়।
ছবি- ফ্রিপিক
পাঠকরা যা বলছেন

"আমি শুধু বলতে চাই আপনার নিবন্ধগুলির জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ! আমার প্রবলেম ছিল, এখানে প্রাপ্ত সমস্ত তথ্য অত্যন্ত সাহায্য করেছে। আপনি আমাকে আশা এবং দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।"

"আমাদের মেইলিং তালিকায় সদস্যতা নিতে পৃষ্ঠার নীচে আপনার ইমেল ঠিকানা লিখতে ভুলবেন না, যাতে আপনি সর্বশেষ বিষয়বস্তু, নতুন পণ্য এবং লেটেষ্ট ব্লগ এর নোটিফিকেশন দ্রুত পেতে পারেন ।"
লিখাটি নিয়ে আপনার অভিমত কি?